E-Paper

পঞ্চায়েতে এজেন্টহীন বুথের খোঁজে কমিশন

জেলা-কর্তারা জানাচ্ছেন, পঞ্চাতের ভোটে জেলায় কয়েক হাজার করে বুথ হয়। সেখান থেকে এই তথ্য সংগ্রহের অর্থ খড়ের গাদায় সুচ খোঁজা। সেই তথ্য পাওয়া যেতে পারে প্রিসাইডিং অফিসারের ডায়েরি থেকে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২৪ ০৬:২০
ECI

জাতীয় নির্বাচন কমিশন। — ফাইল চিত্র।

পঞ্চায়েত নির্বাচনের অভিজ্ঞতা যে লোকসভার ভোট প্রস্তুতির ক্ষেত্রে অন্যতম মানদণ্ড হবে, তা আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সূত্রের দাবি, পঞ্চায়েত ভোটের সময়ে কোন কোন এলাকার কত বুথে স্বীকৃত কোনও জাতীয় দলের এক জনও নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন না, সেই তথ্য এ বার জেলাশাসকদের থেকে চেয়ে পাঠিয়েছেন রাজ্যে নিয়োজিত বিশেষ সাধারণ পর্যবেক্ষক অলোক সিন্হা। জেলা প্রশাসন জানাচ্ছে, ‘কঠিন’ এই কাজটাই করতে হবে খুব অল্প সময়ে।

এ রাজ্যে উল্লেখযোগ্য জাতীয় রাজনৈতিক দলের মধ্যে রয়েছে বিজেপি, কংগ্রেস এবং সিপিএম (আম আদমি পার্টি এবং বহুজন সমাজবাদী পার্টিও রয়েছে তালিকায়)। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল-সহ বাকিদের জাতীয় দলের তকমা নেই। সূত্রের খবর, কমিশন আদতে জানতে চাইছে, পঞ্চায়েত ভোটের সময় কতগুলি বুথে বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএম, আপ বা বিএসপি তথা বিরোধীদের কোনও নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন না।

জেলা-কর্তারা জানাচ্ছেন, পঞ্চাতের ভোটে জেলায় কয়েক হাজার করে বুথ হয়। সেখান থেকে এই তথ্য সংগ্রহের অর্থ খড়ের গাদায় সুচ খোঁজা। সেই তথ্য পাওয়া যেতে পারে প্রিসাইডিং অফিসারের ডায়েরি থেকে। কিন্তু তা বার করে খতিয়ে দেখা খুবই সময়সাপেক্ষ। বরং এক জন এজেন্ট কোথায় কোথায় ছিলেন, তা বলা তুলনায় সহজ। কারণ, সেটা স্ক্রুটিনির তথ্য থেকেই মিলতে পারে।

কেন এমন তথ্য চাইছে কমিশন? ২০১৮ এবং ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা, ভোট লুট, কারচুপি, ব্যালট নষ্ট-সহ একাধিক অভিযোগ ওঠে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে। মনোনয়ন জমা না দিতে দেওয়া এবং তার ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের উদাহরণও কম ছিল না। হিংসা-সন্ত্রাসের ঘটনা যেখানে যেখানে হয়েছিল, সেখানকার তথ্য আগেই চেয়েছিল কমিশন। এজেন্ট না থাকার তথ্যের মাধ্যমে কোথায় রাজনৈতিক উপদ্রব বেশি, তা কমিশন বুঝতে চাইছে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা। শীঘ্রই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের চূড়ান্ত রূপরেখা তৈরির কাজ শুরু হবে। তার আগে সব দিক খতিয়ে দেখতে চাইছে নির্বাচন সদন। পুনর্নির্বাচন কোথায় কোথায় হয়েছিল, সেটাও জানতে চেয়েছে কমিশন।

পঞ্চায়েত ভোট পুরোপুরি রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অধীনে। বরং বিধানসভা এবং লোকসভা ভোট হয় জাতীয় নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে। তবুও পঞ্চায়েত ভোটের বিভিন্ন ঘটনাকে কমিশন কেন মানদণ্ড করতে চাইছে, উঠেছে সেই প্রশ্নও।

অভিজ্ঞ আধিকারিকদের মতে, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে বরাবর সরব বিরোধীরা। লোকসভার প্রস্তুতি বৈঠকে পঞ্চায়েত ভোটের নানা ঘটনা জাতীয় নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের সামনে তুলে ধরেছিলেন তাঁরা। ফলে কমিশন-কর্তারা সম্ভবত বুঝতে চাইছেন, নিয়ন্ত্রণ ‘শিথিল’ থাকলে কোথায় কী ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Lok Sabha Election 2024 ECI

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy