ডুব সাঁতারে অভিনব প্রচার সুভাষের (বাঁ দিকে), নেতাজির মূর্তিতে মাল্যদান সৃজনের (ডান দিকে)। — নিজস্ব চিত্র।
প্রচারে বেরিয়ে তাঁর সাবান মাখিয়ে স্নান করিয়ে দেওয়ার দৃশ্য দেখেছে সবাই। রবিবার সকালে বাঁকুড়ার বিজেপি প্রার্থী তথা বিদায়ী সাংসদ সুভাষ সরকার প্রচার করলেন জলে ডুবে! মোদী ছাপ গেঞ্জি পরে জলে কসরত দেখানোর পর সুভাষ জানান, সাঁতার নিয়ে মানুষের উৎসাহ বৃদ্ধি করাই তাঁর জলে নামার উদ্দেশ্য। অন্য দিকে, যাদবপুরের সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য প্রচার শুরু করলেন কোদালিয়ায় নেতাজি সুভাষের পৈত্রিক ভিটে দর্শন করে। সব মিলিয়ে সকাল থেকেই তুঙ্গে প্রার্থীদের রবিবাসরীয় প্রচার।
ষষ্ঠ দফায় আগামী ২৫ মে বাঁকুড়ায় ভোট। তার আগে মানুষের নজর টানতে প্রচারে অভিনবত্ব আনছেন ডান-বাম সব দলের প্রার্থীই। আর এ ক্ষেত্রে বাকিদের চেয়ে অন্তত কয়েক কদম এগিয়ে বাঁকুড়া লোকসভার বিজেপি প্রার্থী সুভাষ। এর আগে অম্বেডকর জয়ন্তীর শোভাযাত্রায় শামিল হয়ে হুড খোলা গাড়ির উপর এক ব্যক্তির জুতো পালিশ করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। গরমে ক্লান্ত এক ব্যক্তিকে সাবান মাখিয়ে স্নান করিয়ে দিয়েও সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন সুভাষ। এ বার তিনি অনুগামীদের সঙ্গে নিয়ে পুকুরে নেমে সাঁতার কাটলেন। রবিবার সাতসকালে অনুগামীদের সঙ্গে নিয়ে সুভাষ তাঁর বাঁকুড়া শহরের লোকপুরের বাড়ি লাগোয়া একটি পুকুরে নেমে পড়েন। সেখানে অনুগামীদের সঙ্গে নিয়ে হাত, পা ছুড়ে কখনও ফ্রি স্টাইল, কখনও চিত সাঁতার, আবার কখনও ডুব সাঁতার দিতে দেখা গেল তাঁকে। কিছু ক্ষণ পর পুকুর থেকে উঠে সুভাষ বলেন, ‘‘বর্তমানে বহু মানুষ বিশেষ করে শিশুরা সাঁতার জানে না। কিন্তু প্রতিটি মানুষের সাঁতার জানা অত্যন্ত জরুরি। এমনকি যারা আকাশপথে যাতায়াত করেন, তাঁদেরও সাঁতার জানা প্রয়োজন। সাঁতারের সেই উপকারিতা সম্পর্কে অভিভাবকদের সচেতন করতেই আমি সাঁতার কাটলাম।’’
সুভাষের সাঁতার কর্মসূচিকে অবশ্য কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। তৃণমূলের বাঁকুড়া লোকসভার প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘হার নিশ্চিত বুঝতে পেরে সুভাষ সরকার শিশুসুলভ আচরণ করছেন। মাথা কাজ করছে না। তাই এই ধরনের আচরণ করছেন। অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার অনুরোধ করব।’’
প্রচারে অভিনবত্ব দেখা গেল যাদবপুর লোকসভাতেও। সেখানকার কংগ্রেস সমর্থিত সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য সোনারপুরের সুভাষগ্রামে প্রচারে নেমেই সাতসকালেই পৌঁছে গিয়েছিলেন কোদালিয়ায় নেতাজি সুভাষের পৈত্রিক ভিটেয়। সেখানে নেতাজির ছবিতে মালা দিয়ে প্রচার শুরু করেন তরুণ বামনেতা। সৌজন্য সাক্ষাৎ সারেন রাজপুর-সোনারপুরের পুরপ্রধান পল্লবকুমার দাসের সঙ্গেও। সৃজনের সঙ্গে দেখা করার পর পল্লব বলেন, ‘‘এটা রাজনৈতিক সৌজন্য। যে যার রাজনৈতিক মতাদর্শে বিশ্বাসী কিন্তু পারস্পরিক সৌজন্য অটুট থাকবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy