বন্ধন ব্যাঙ্ক। -ফাইল চিত্র।
তা হলে শেয়ার বাজারেও আলোচনার ‘ফোকাস’ হয়ে উঠতে পারে কোনও বাঙালির হাতে গড়া সংস্থা?
মঙ্গলবার দেশের শেয়ার বাজারে ‘ব্যাট’ হাতে নেমে প্রথম বল থেকেই ‘ছক্কা’ মেরে বন্ধন ব্যাঙ্ক বুঝিয়ে দিল, পারে, বাঙালি পারে।
প্রায় ১২ কোটি শেয়ারের প্রত্যেকটি ৩৭৫ টাকায় বেচে মঙ্গলবার সকালে যখন ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ (এনএসই) ও বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ (বিএসই)-এর ‘পিচ’-এ প্রথম বারের জন্য পা রাখে বন্ধন ব্যাঙ্ক, তখনই তার ‘ব্যাট’ থেকে মাঠের বাইরে পৌঁছে যায় প্রথম ‘ছক্কা’টি! ৩৭৫ টাকা থেকে শেয়ারের দাম পৌঁছে যায় ৪৯৯ টাকায়।
লাফ বলে লাফ! বাজারে ‘এন্ট্রি’তেই শেয়ারের দাম চড়ে যায় ৩০ শতাংশ। বিকালে বাজার বন্ধ হওয়ার সময় যে শেয়ারের দাম ছিল ৪৭৭ টাকা।
গত ১৭ বছরের পরিক্রমায় কী ভাবে বন্ধনের ‘বন্ধন’-এ জড়িয়ে গিয়েছেন গোটা ভারতের আমজনতা, তার প্রমাণ মিলেছে এ দিন এনএসই এবং বিএসই-তে ব্যাঙ্কের প্রথম পদার্পণের দিনেই।
আরও পড়ুন- মন ভোলাতে মিষ্টি কথা, টান টাকাতেই
আরও পড়ুন- বকেয়া ২ বছরের আইটি রিটার্ন জমার শেষ দিন ৩১ মার্চ
বাজারে ‘ডে-ওয়ান’-এই এসেছে বন্ধন ব্যাঙ্কের বেচা ৯ কোটি ৬৩ লক্ষ ও এক শেয়ার হোল্ডারের বেচা আরও ২ কোটি ১৬ লক্ষ শেয়ার।
ত্রিপুরায় জন্ম আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পর ভাল চাকরি ছেড়েছুড়ে আজ থেকে ১৭ বছর আগে, ২০০১ সালে ‘বন্ধন’ শুরু করেছিলেন কর্ণধার চন্দ্রশেখর ঘোষ। তার পর আর তাঁকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
১৭ বছরে ধীরে ধীরে গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে বন্ধন ব্যাঙ্ক। দেশের ৩৩টি রাজ্যে এখন তার শাখার সংখ্যা ৯২৫। আর পশ্চিমবঙ্গে শাখার সংখ্যা ৩৫৪। সারা দেশে ব্যাঙ্কের মাইক্রো ক্রেডিট সংস্থা রয়েছে ২ হাজার ৭৬৫টি।
২০১৪-র এপ্রিলে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অনুমোদন পাওয়ার পর ‘বন্ধন’-এর পথ চলা শুরু হয়েছিল ২০১৫-র অগস্টে। চন্দ্রশেখরবাবু বলেন, ‘‘আড়াই বছরে ব্যাঙ্কের মোট গ্রাহকের সংখ্যা পৌঁছেছে এখন ১ কোটি ৩০ লক্ষে। যাঁদের মোট জমার পরিমাণ ৩১ হাজার কোটি টাকা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy