Advertisement
২০ মে ২০২৪
Dharmendra Pradhan

তেলের শুল্কেই আর্থিক সাহায্য! যুক্তি শুনে থ’ দেশ

লাগাতার তেলের দাম বাড়ার প্রতিবাদে আজ কংগ্রেস দেশ জুড়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছে।

তেলমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান।—ছবি সংগৃহীত।

তেলমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান।—ছবি সংগৃহীত।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০২০ ০২:৫৮
Share: Save:

আয় হারিয়ে আমজনতার জীবন ও শিল্প যখন বিপর্যস্ত, তখন তেলের দাম টানা বেড়েছে প্রায় গোটা জুন ধরে (মাঝে দু’এক দিন অপরিবর্তিত ছিল)। এই অবস্থায় বিরোধীদের আক্রমণের মুখে আজ তেলমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের যুক্তি, জ্বালানিতে শুল্ক বসিয়ে যে আয় হয়েছে, তা স্বাস্থ্য পরিষেবায়, লকডাউনের সময় গরিব মানুষকে অর্থ সাহায্য করতে খরচ হয়েছে। যা শুনে অবাক গোটা দেশ। অনেকেরই প্রশ্ন, এ মাছের তেলে মাছ ভাজা নয় কি? দেশবাসীর পকেট থেকে টাকা নিয়ে তাঁদেরই দেওয়া! সরকার কী করল?

প্রধানের কথায়, ‘‘দায়িত্ব নিয়ে বলছি, স্বাস্থ্য পরিষেবায়, উন্নয়নে যখন অর্থের দরকার পড়ে, তখন কেন্দ্র শুল্ক বাড়ায়। জিএসটি থেকে আয় কমেছে। ব্যবসা স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে। কেন্দ্র জ্বালানিতে শুল্ক বাড়িয়ে আয়ের ভাগ রাজ্যকে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ রোজগার যোজনা তৈরি হয়েছে। গরিবের রেশন, কৃষকের অ্যাকাউন্টে টাকা গিয়েছে। তিন মাস নিখরচায় গ্যাস দেওয়া হয়েছে।” তাঁর দাবি, তেল বিক্রি কমায় রাজ্য ও কেন্দ্রের রাজস্ব আয়ে ধাক্কা লেগেছিল।

লাগাতার তেলের দাম বাড়ার প্রতিবাদে আজ কংগ্রেস দেশ জুড়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। দিল্লি থেকে গুজরাত, বিভিন্ন রাজ্যে কংগ্রেস কর্মীদের আটক করা হয়েছে। তিন নেতা কে সি বেণুগোপাল, রাজীব সতাভ, মাণিক ঠাকুর সাইকেলে চেপে সংসদে এসেছেন। ফেসবুক-টুইটারে ‘স্পিক আপ এগেন্সট ফুয়েল হাইক’ নামের প্রচার চালিয়েছে কংগ্রেস। ৩০ জুন থেকে ৪ জুলাই পর্যন্ত মহকুমা, ব্লক স্তরে বিক্ষোভ দেখানো হবে। কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী বলেন, কেন্দ্র লকডাউনের মধ্যে ২২ বার জ্বালানির দাম বাড়িয়েছে। মানুষকে শোষণ করে রাজকোষ ভরা হচ্ছে। তবে প্রধানের পাল্টা, “কারও রাজকোষ ভরেনি। গত তিন মাসে ৪২ কোটি মানুষের অ্যাকাউন্টে প্রায় ৬৫ হাজার কোটি জমা পড়েছে। আপনাদের সংস্কৃতি, জামাইয়ের অ্যাকাউন্টে, পরিবারের অ্যাকাউন্টে, রাজীব গাঁধী ফাউন্ডেশনের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করা।”

দৌড়
• জুনে কলকাতায় পেট্রল বেড়েছে লিটারে ৮.৮০ টাকা ও ডিজেল ১০.০২।
• মঙ্গলবার দাম বাড়েনি।
• আইওসির পাম্পে লিটার পিছু পেট্রল ৮২.১০ টাকা। ডিজেল ৭৫.৬৪ টাকা।

রাহুল গাঁধীর অভিযোগ, তাঁরা গরিবের হাতে নগদ আয় দেওয়ার কথা বলেছিলেন। কেন্দ্র তেলের দাম বাড়িয়ে গরিব-মধ্যবিত্তের পকেটে হাত দিচ্ছে। এরপর পণ্যের দাম বাড়লেও তাঁরাই খেসারত দেবেন। সনিয়ার দাবি, “তেলে শুল্ক ফেরানো হোক।”

আরও পড়ুন: অন্তত কাঁচামালটুকু আসুক নির্বিঘ্নে, আবেদন শিল্পের

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE