হাজারো কূটনৈতিক চাপান-উতোরের মধ্যেও ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের প্রসারই চায় চিন। শনিবার ক্যালকাটা চেম্বার অব কমার্সের এক সভায় সে কথাই ফের উঠে এল কলকাতায় চিনের কনসাল জেনারেল মা ঝানউ-র বক্তব্যে।
পাকিস্তানের ‘সন্ত্রাসবাদ’ কিংবা ‘নিউক্লিয়ার সাপ্লায়ার্স গ্রুপ’–এ ভারতের অন্তর্ভুক্তি— সাম্প্রতিক কালে এ ধরনের নানা ইস্যুতে প্রায় নিয়মিতই ঠোকাঠুকি চলছে দু’দেশের মধ্যে। সেই টানাপড়েনের মধ্যেও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বিস্তারে আগ্রহী চিন। কনসাল জেনারেলের দায়িত্ব নেওয়ার পরে বেশ কয়েকটি বণিকসভায় দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধির পক্ষে সওয়াল করেন ঝানউ। এ দিনও তাঁর দাবি, বাণিজ্যের প্রসারে ‘ওয়ান বেল্ট, ওয়ান রোড’ (ওবর)-এর মতো প্রকল্পে ভারতের যোগ না-দেওয়া বা অন্য ইস্যুতে দু’দেশের মতপার্থক্য হলেও তা বাণিজ্যে প্রভাব ফেলবে না। তবে বণিকসভার প্রেসিডেন্ট দীনেশ জৈনের মতে, পারস্পরিক সম্পর্কে উন্নতি হলেও এখনও পুরোটা সম্ভব হয়নি।
ঝানউ-র মতে, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়ানোর সম্ভাবনা যথেষ্ট। তিনি জানান, পাঁচ বছরে চিন বিদেশে ৭৫ হাজার কোটি মার্কিন ডলার লগ্নি করবে। তেমনই ৮ লক্ষ কোটি টাকার বিভিন্ন পণ্য ও পরিষেবা আমদানি করবে। ২০১৮ সালে প্রথম চিনে পণ্য আমদানি নিয়ে মেলা হবে। নতুন লগ্নি ও আমদানি, উভয় ক্ষেত্রেই ভারতকে পাশে চাইছে চিন।
কিন্তু দু’দেশের মধ্যে যা কূটনৈতিক সম্পর্ক, তাতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের প্রসার কতটা সম্ভব? মতপার্থক্যের কথা মানছেন চিনা কূটনীতিবিদও। তিনি নিজেই তুলেছেন ‘ওবর’-এর প্রস্তাব নিয়ে বেজিংয়ে সম্প্রতি আয়োজিত সম্মেলনে ভারতের যোগ না-দেওয়ার প্রসঙ্গ। তবে তাঁর অভিযোগ, এই ঘটনাকে বাড়িয়ে প্রচার করেছে সংবাদ মাধ্যম। তিনি বলেন, ‘‘পরেও এ নিয়ে আলোচনা হতেই পারে।’’ তাঁর আশা, ২০১৯ সালে যে সম্মেলন হওয়ার কথা, সেখানে ভারত যোগ দেবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy