প্রতীকী ছবি।
করোনার আবহে গত অর্থবর্ষে (২০২০-২১) দেশে পেট্রল-ডিজেলের মতো প্রথাগত জ্বালানির গাড়ি বিক্রি যেমন ধাক্কা খেয়েছে, তেমনই কমেছে বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রিও। বৈদ্যুতিক গাড়ি সংস্থাগুলির সংগঠন সোসাইটি অব ম্যানুফ্যাকচারার্স অব ইলেকট্রিক ভেহিক্ল (এসএমইভি) জানিয়েছে, গত বছরে দেশে সব মিলিয়ে এই গাড়ির বিক্রি ২০% কমে দাঁড়িয়েছে ২,৩৬,৮০২। তার আগের অর্থবর্ষে সেই সংখ্যা ছিল ২.৯৫ লক্ষেরও বেশি।
এসএমইভি-র পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২০-২১ সালে দু’চাকার বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রি ৬% কমে হয়েছে ১,৪৩,৮৩৭টি। এর মধ্যে কমগতির গাড়ির সংখ্যা ১.০৩ লক্ষ, আর বেশি গতির ৪০,৮৩৬টি। তিন চাকার ক্ষেত্রে বিক্রি ২০১৯-২০ সালের ১,৪০,৬৮৩টির থেকে কমে হয়েছে ৮৮,৩৭৮টি (নথিভুক্ত নয়, এমন গাড়ির হিসেব অবশ্য এতে নেই)। চার চাকার গাড়ির ক্ষেত্রে যদিও বিক্রি ৫৩% বেড়ে হয়েছে ৪৫৮৮টি। সংগঠনের ডিজি সোহিন্দর গিলের মতে, আশা ছিল বছরটা ভাল যাবে। কিন্তু তার পরেই নানা কারণে বিক্রি ধাক্কা খেয়েছে। বিশেষত, দুই ও তিন চাকার বৈদ্যুতিক গাড়ির। তবে আশার কথা যে মানুষ এখন আরও বেশি করে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির লিথিয়ান আয়ন ব্যাটারির গাড়ির দিকে ঝুঁকছেন। চাহিদা বাড়ছে দ্রুতগতির দু’চাকারও।
যদিও কেন্দ্রের ফেম-২ প্রকল্পের লক্ষ্য ছুঁতে সরকারকে বৈদ্যুতিক গাড়ি সংক্রান্ত নীতি আরও পরিবর্তনের পথে হাঁটতে হবে বলে মনে করেন গিল। তাঁর কথায়, এখনও হাতে গোনা কিছু ব্যাঙ্ক এই ধরনের গাড়ির জন্য ঋণ দেয়। তা-ও আবার মেলে নির্দিষ্ট কয়েকটি মডেলে। ঋণের সুবিধা না-বাড়লে চাহিদা বাড়বে না। তার উপরে কিছু রাজ্যে বৈদ্যুতিক গাড়ি নীতি এলেও, অনেকেই তা আনেনি। ফলে সেই সব অঞ্চলে এর ব্যবহার বাড়ছে না। তবে নীতি আনা হলে ছবিটা পাল্টাবে।
এর মধ্যেও অবশ্য অন্য সংস্থার থেকে পাওয়া বরাতের হাত ধরে কিছুটা আশার আলো দেখছে এই ধরনের গাড়ি নির্মাতারা। বিশেষ করে অ্যামাজ়ন, ফ্লিপকার্টের মতো নেট বাজারের চাহিদা বাড়ছে বলে মত গিলের। বহু সংস্থাই এখন আবার দেশে বৈদ্যুতিক গাড়ির পরিকাঠামো তৈরির ব্যবসায় পা রাখছে। ফলে আগামী ৫-৬ বছরে গাড়ি চার্জ দেওয়ার পরিকাঠামোর উন্নতি হবে বলেই জানান তিনি। যা চাহিদা বাড়াতে সাহায্য করবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy