প্রতীকী ছবি।
করোনার মধ্যেও টানা আট মাস এক লক্ষ কোটি টাকার বেশি আদায়ের পরে দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় জুনে ৯২,৮৪৯ কোটি টাকায় নেমেছিল জিএসটি সংগ্রহ। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতেই বিভিন্ন রাজ্যে স্থানীয় লকডাউন ওঠা এবং আর্থিক কর্মকাণ্ড চালুর হাত ধরে জুলাইয়ে তা ফের ছাড়িয়ে গেল এক লক্ষ কোটির গণ্ডি। সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, গত মাসে জিএসটি আদায় দাঁড়িয়েছে ১,১৬,৩৯৩ কোটি টাকা। যা চলতি অর্থবর্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
অর্থ মন্ত্রকের দাবি, ‘‘জুলাইয়ে কর সংগ্রহ ফের লক্ষ কোটি পার করা দেশের অর্থনীতি দ্রুত ঘুরে দাঁড়ানোর স্পষ্ট ইঙ্গিত। আমাদের ধারণা, আগামী দিনেও এরকম বিপুল কর আদায়ই হবে।’’ আর্থিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধির হাত ধরে কর সংগ্রহে গতি বহাল থাকবে বলে একমত বিশেষজ্ঞদের একাংশও। তবে আদায়কে স্বস্তির বলে জানিয়েও অন্য অংশের মতে, গত ক’দিন ধরে দেশে দৈনিক সংক্রমণের হার চিন্তা বাড়াচ্ছে। ফলে তৃতীয় ঢেউ আসে কি না এবং এলে তার মোকাবিলা কী ভাবে করা হয়, তার উপরেও কর আদায় নির্ভর করবে। এই ক্ষেত্রে প্রতিষেধক যে অন্যতম সুরাহা বয়ে আনতে পারে, সে কথাও জানিয়েছেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, অর্থ মন্ত্রক জানিয়েছে, জুলাইয়ে কেন্দ্রীয় জিএসটি আদায় হয়েছে ২২,১৯৭ কোটি টাকা, রাজ্য জিএসটি ২৮,৫৪১ কোটি, সম্মিলিত জিএসটি ৫৭,৮৬৪ কোটি। আর সেস বাবদ এসেছে ৭৭৯০ কোটি টাকা। গত বছরের চেয়ে আদায় ৩৩% বেশি।
এ দিকে, রবিবার পরোক্ষ কর পর্ষদ জানিয়েছে, বছরে ৫ কোটি টাকার বেশি আয়ের ক্ষেত্রে নিজেই জিএসটি রিটার্নকে মান্যতা (সেল্ফ সার্টিফাই) দিতে পারবেন করদাতারা। এ ক্ষেত্রে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টদের বাধ্যতামূলক অডিট সার্টিফিকেট লাগবে না।
১৮% জিএসটি: পরিশোধনের পরে শিল্পে ব্যবহারের জন্য পাঠানো খাল-বিলের জলে ১৮% জিএসটি বসবে বলে জানাল অথরিটি ফর অ্যাডভান্স রুলিং। এ সংক্রান্ত মামলায় বিষয়টি স্পষ্ট করেছে তাদের মহারাষ্ট্র বেঞ্চ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy