হাসিব দ্রাবু।
দেশে শুক্রবার মধ্যরাত থেকেই চালু হয়েছে জিএসটি। ব্যতিক্রম শুধু জম্মু-কাশ্মীর। তবে সেখানে সামনের সপ্তাহেই তা চালু হয়ে যাবে বলে জানালেন জম্মু-কাশ্মীরের অর্থমন্ত্রী হাসিব দ্রাবু।
সংসদের সেন্ট্রাল হলে জিএসটি চালুর অনুষ্ঠানে এসেছিলেন দ্রাবু। তার আগে জিএসটি পরিষদের বৈঠকেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির সঙ্গে তাঁর কথা হয়। রাতের অনুষ্ঠানের পরে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘‘৫ জুলাই বিশেষ অধিবেশন ডেকে রাজ্য মন্ত্রিসভা জিএসটি অনুমোদনের প্রস্তাব রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাবে। তার পরেই জম্মু-কাশ্মীরে তা চালু হবে।’’
জিএসটি চালু নিয়ে জেটলি ক’দিন আগেই চিঠি লিখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতিকে। এনডিএ-র রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে বেঙ্কাইয়া নায়ডু, জিতেন্দ্র সিংহকেও পাঠানো হয়েছিল মুফতিকে বোঝাতে। কিন্তু ভারত জুড়ে ‘এক দেশ, এক কর’ প্রথা চালু হলেও, মুফতি তা রূপায়ণ করেননি ঘরের অসন্তোষ সামাল দিতে। সেখানকার ব্যবসায়ীরা এর বিরোধী। জিএসটির প্রতিবাদে শনিবার কাশ্মীর ট্রেডার্স অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্সের ডাকে বন্ধ পালিত হয় রাজ্য জুড়ে। বেশির ভাগ দোকান, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল।
আরও পড়ুন: নয়া কর জমানার শুরুতেই চড়া সুর মোদীর
বিরোধী ও ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা, জিএসটি চালু হলে জম্মু-কাশ্মীরের আর্থিক স্বাধীনতা ও সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদে দেওয়া বিশেষ মর্যাদাও লঙ্ঘিত হবে। জম্মু-কাশ্মীরের শাসক দল পিডিপি সূত্রে খবর, এই আশঙ্কার কথা ভেবেই দু’দিন আগে সবর্দলীয় বৈঠক ডাকা হয়। তবে জিএসটি চালু না-হলে আর্থিক দিক থেকে রাজ্যের যে-ক্ষতি হবে, সে ব্যাপারে মোটের উপর একমত সব রাজনৈতিক দল। কারণ, ব্যবসার জন্য অন্য রাজ্যের উপরেও নির্ভর করতে হয় জম্মু-কাশ্মীরকে। তবে কোনও ভাবেই যাতে রাজ্যের আর্থিক স্বাধীনতা খর্ব না-হয়, সে বিষয়টি সুনিশ্চিত করায় জোর দিয়েছেন সকলে। অবশ্য দ্রাবুর মতে, জিএসটি চালু হলে রাজ্যের আর্থিক স্বাধীনতা খর্ব হবে, এই ধারণাটি ভুল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy