খোদ প্রধানমন্ত্রীর দাবি, ‘প্রতিশ্রুতি পূরণ’। আর তাঁর দলের দাবি, কৃষি অর্থনীতিবিদ এম এস স্বামীনাথনের সুপারিশ মেনেই ফসলে চাষের খরচের দেড় গুণ ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) দেওয়ার কথা বলেছে সরকার। কিন্তু যাঁর সুপারিশ, মোদীর প্রতিশ্রুতি পালনের দাবি খারিজ করে দিলেন সেই স্বামীনাথনই। তাঁর যুক্তি, ঘোষিত এমএসপি সুপারিশের থেকে কম।
নয়া এমএসপিকে ভোটে হাতিয়ার করতে চায় মোদী সরকার। তুলে ধরতে চায় আগের বারের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি রেখে স্বামীনাথনের সুপারিশ মানার কথা। কিন্তু সেই স্বামীনাথনের বিবৃতিই আজ বুমেরাং হয়েছে। কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, তাঁরা প্রথমেই একে ধাপ্পাবাজি বলেছিলেন। স্বামীনাথন তাতে সিলমোহর দিলেন।
স্বামীনাথনের প্রস্তাব ছিল, চাষের খরচের মধ্যে সার, বীজের মতো উপকরণ ও পারিবারিক মজুরির মূল্যের সঙ্গে জমি লিজ নেওয়ার খরচও ধরতে হবে। ফসলের দাম হতে হবে সেই সার্বিক খরচের থেকে ৫০% বেশি। কিন্তু মোদী সরকার জমি লিজের খরচ ধরেনি। স্বামীনাথনের কথায়, ‘‘কুইন্টালে চালের এমএসপি ১,৭৫০ টাকা হয়েছে। কৃষি খরচ ও মূল্য কমিশনের সূচক মেনে এ বছর ধান চাষের সার্বিক খরচ ১,৫২৪ টাকা। এমএসপি মাত্র ১৫% বেশি।’’
দেশ জুড়ে কৃষকদের ক্ষোভের মুখেই এমএসপি বাড়াতে বাধ্য হয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু স্বামীনাথনের মতে, শুধু তাতে সঙ্কট কাটবে না। চাষিরা যাতে তা পান, সেটি নিশ্চিত করতে হবে।
তার উপর বাড়তি এমএসপিতে আশঙ্কা মূল্যবৃদ্ধি মাথাচাড়া দেওয়ার। বিশ্ব বাজারে তেলের চড়া দরের সঙ্গে যার মিশেল ঘাটতি নিয়ন্ত্রণে রাখার কাজ অনেক কঠিন করে দিতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy