প্রতীকী চিত্র
নতুন বছরের গোড়ায় খারাপ খবর শোনানোর ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন আইএমএফের মুখ্য অর্থনীতিবিদ গীতা গোপীনাথ। সোমবার জানালেন, চলতি অর্থবর্ষে ভারতে বৃদ্ধির পূর্বাভাস ৬.১% থেকে আরও কমিয়ে ৪.৮ শতাংশে নামিয়েছেন তাঁরা। গত অক্টোবরে তা এক দফা ছেঁটে ৬.১% করেছিল আইএমএফ। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, আশঙ্কার থেকেও খারাপ এই হার। আর গীতা বলছেন, গ্রামাঞ্চলে ঝিমিয়ে থাকা চাহিদা ও শ্লথ ঋণই বৃদ্ধির টুঁটি টিপে ধরছে।
আইএমএফ বিশ্ব অর্থনীতির সম্ভাব্য বৃদ্ধিও কমিয়ে ২.৯% করেছে এ দিন। তবে সে জন্য দায়ী করেছে ভারত-সহ কিছু উন্নয়নশীল অর্থনীতির সমস্যাকেই। গীতা বলেন, এই সব দেশের আর্থিক কর্মকাণ্ডে ‘নেতিবাচক চমক’ কিছুটা বেশিই দেখা গিয়েছে। তার ছাপ পড়েছে বিশ্ব বাজারে। তাঁর দাবি, পূর্বাভাসে এই বদল বাড়তে থাকা সামাজিক অস্থিরতারও প্রতিফলন।
আরও উদ্বেগ
•চলতি অর্থবর্ষে ফের ভারতে বৃদ্ধির পূর্বাভাস কমাল আইএমএফ। এ বার নামাল ৪.৮ শতাংশে।
•গাড়ি শিল্পের আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা এলএমসি অটোমোটিভের দাবি, ঋণের অভাব ও দুর্বল অর্থনীতির জেরে ভারত ও চিনে ক্রেতা কমে যাওয়াতেই ২০১৯ সালে সঙ্কটে ডুবেছে সারা বিশ্বের গাড়ি শিল্প।
•অক্টোবরে দেশে বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে কয়লার আমদানি কমল ১০.৭%। আগের দু’মাসেও কমেছিল। চাহিদার অভাবে কারখানায় উৎপাদন কমেছে। কম লাগছে বিদ্যুৎ। ফলে কয়লাও।
যদিও ভারতে খোদ সরকারের অনুমান বৃদ্ধি আটকে থাকবে ৫ শতাংশে। তবে একাংশের দাবি, সব থেকে মন্দ সময় কেটেছে। এ বার চাকা ঘুরবে। গীতা কিন্তু বলেছেন, ২০২০ সালেও বিশ্ব অর্থনীতির অগ্রগতির সম্ভাবনা অনিশ্চিত। কারণ, তা নির্ভর করছে আর্জেন্টিনা, ইরান, তুরস্কের মতো সঙ্কটাপন্ন এবং ভারত, ব্রাজ়িল, মেক্সিকোর মতো প্রত্যাশার তুলনায় বেশি সঙ্কটে নাস্তানাবুদ অর্থনীতিগুলির উন্নতির উপরে। আগামী দু’বছরেও ভারত ও বিশ্ব অর্থনীতির সম্ভাব্য বৃদ্ধি ছেঁটেছেন তাঁরা। বিশেষজ্ঞদের দাবি, কেন্দ্র আর্থিক সঙ্কটকে যতই হাল্কা করে দেখাক, ফের স্পষ্ট হল অর্থনীতির কঙ্কালসার চেহারাটাই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy