৪৮ ঘণ্টা বাদেই পঞ্চম বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটের (বিজিবিএস) ঢাকে কাঠি পড়বে। সূত্রের খবর, নির্ধারিত সূচি মেনেই চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি পর্ব। শিল্প সম্মেলনে রাজ্যের পাশাপাশি দেশ-বিদেশের শিল্প কর্তাদেরও থাকার কথা। যদিও কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের সাম্প্রতিক সংঘাতের প্রেক্ষিতে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন ও সংশয় তৈরি হয়েছে, বরাবরের প্রথা মেনে এ বারও সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকতে পারবেন কি না।
রবিবার রাত থেকে ধর্মতলায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ধর্নায় বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ধর্নামঞ্চ থেকেই সোমবার তিনি তৃণমূল কর্মীদের বলেন, ‘‘৮ তারিখ পর্যন্ত নিজেদের এলাকায় মিটিং-মিছিল করবেন। তার পরে পরীক্ষার জন্য মাইক ব্যবহার বন্ধ হয়ে যাবে।’’ এই সময়ের মধ্যে তিনি যে ধর্নামঞ্চেই থাকতে চান, সেই ইঙ্গিত দিয়ে মমতা বলেন, ‘‘এর মধ্যে আমার হুগলিতে যাওয়ার কথা ছিল। ওখানে যেতে পারব না। ওটা পরে করে দেব। আমি এখানে থাকলেও সরকারি কাজের অবহেলা হবে না। কর্মযজ্ঞ চলবে, প্রতিবাদও চলবে।’’
বৃহস্পতিবার থেকে রাজারহাটের বিশ্ব বঙ্গ কনভেনশন সেন্টারে দু’দিনের সম্মেলন হবে। বুধবার রাতে ইকো পার্কে রাজ্যের আমন্ত্রণে দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক শিল্প মহলের প্রতিনিধিদল ও বিদেশি কূটনীতিবিদদের নৈশভোজে থাকার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। সাধারণত শিল্প সম্মেলনে উদ্বোধনের পাশাপাশি সমাপ্তি ভাষণও দেন তিনি। তবে ধর্নার জন্য এ বার কী হবে তা নিয়ে শিল্প মহলের একাংশে জল্পনা চলছে।
রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, যদি এর মধ্যে ধর্না তোলার মতো পরিস্থিতি তৈরি না হয়, সে ক্ষেত্রে গুরুত্বের বিচারে মুখ্যমন্ত্রী হয়তো শিল্প সম্মলেনে ব্যক্তিগত ভাবে উপস্থিত থাকার চেয়ে ধর্না মঞ্চকেই গুরুত্ব দেবেন।
সে ক্ষেত্রে দেশে গণতন্ত্র ও সংবিধান ‘আক্রান্ত’— নিজের সেই বার্তাও বিজিবিএসে অনুপস্থিতির মাধ্যমে জোরাল ভাবে পৌঁছে দিতে পারবেন তিনি। পাশাপাশি শিল্পমহলের কেউ যদি ধর্না মঞ্চেই এসে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন, তা হলেও একটা বার্তা দেওয়া যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy