ফাইল চিত্র।
মোবাইল পরিষেবায় বিভ্রাটের অভিযোগ বহু পুরনো। করোনাকালে বাড়িতে বসে কাজ বা পড়ুয়াদের অনলাইন ক্লাসের চাপে সেই সমস্যা আরও বেড়েছে বলে অভিযোগ গ্রাহকদের একাংশের। টাওয়ার অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রোভাইডর্স অ্যাসোসিয়েশনের (টাইপা) অবশ্য দাবি, আরও টাওয়ার বসানো বা অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগের অনুকূল পরিবেশ গড়ার নীতিই এখনও কার্যকর হয়নি পশ্চিমবঙ্গ-সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে। তাই পরিকাঠামো গড়ার প্রক্রিয়া বাধা পাচ্ছে। বাড়ছে খরচও। সে কারণেই চার বছর আগে তৈরি কেন্দ্রীয় নীতি দ্রুত সমস্ত রাজ্যে রূপায়ণের দাবি তুলেছে টাওয়ার পরিকাঠামো সংস্থাগুলির সংগঠনটি।
টাওয়ার বসানো কিংবা অপটিক্যাল ফাইবার পাতার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের থেকে ছাড়পত্র নিতে হয় টেলিকম সংস্থা ও টাইপা-র সদস্যদের। কিন্তু এ নিয়ে কোনও নির্দিষ্ট নীতি না-থাকায় ২০১৬ সালে ‘রাইট অব ওয়ে রুল’ আনে কেন্দ্র। টাইপা-র ডিজি টি আর দুয়ার দাবি, অধিকাংশ রাজ্যেই এখনও সেই নীতি কার্যকর হয়নি। নীতিতে এককালীন ফি-এর কথা বলা থাকলেও একাধিকবার ও নানা খাতে (যেমন সম্পত্তি কর) চড়া ফি চাওয়া হচ্ছে। ফলে পরিকাঠামো বাড়াতে সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে সংস্থাগুলিকে।
টেলি শিল্পের দাবি
• সহজে পরিকাঠামো গড়তে কেন্দ্র ২০১৬ সালে ‘রাইট অব ওয়ে’ (আরওডব্লিউ) নীতি তৈরি করেছে।
• নীতিতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টাওয়ার ও ফাইবার কেব্ল পাততে সায় দেওয়াও সমস্যা মেটানোর ব্যবস্থা রয়েছে।
• কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ-সহ বহু রাজ্যই সেই নীতি কার্যকর করেনি।
• রাজ্যস্তরেই শুধু নয়, একই রাজ্যে পুরসভা বা পঞ্চায়েতেও আলাদা নিয়মের জন্য পরিকাঠামো তৈরি ধাক্কা খায়।
• এককালীন টাওয়ার প্রতি ১০,০০০ টাকা ও প্রতি কিলোমিটার ফাইবার পাতার জন্য ১০০০ টাকা নেওয়ার কথা প্রশাসনের।
• সেই অঙ্ক ৫ লক্ষ থেকে কোটি টাকার সীমা ছাড়ায়। রয়েছে আরও নানা চার্জ।
অথচ যে হারে ডেটার ব্যবহার বাড়ছে, তাতে টাওয়ারের সঙ্গে ফাইবারের সংযোগ আরও না-বাড়ালে ৪জি বা ৫জি-র মতো প্রযুক্তির পরিষেবা ঠিক ভাবে চলা মুশকিল বলেও জানান দুয়া। কেন্দ্রীয় নীতি রূপায়ণের পাশাপাশি, সরকারি ভবনেও পরিকাঠামো নির্মাণে দ্রুত ছাড়পত্র দেওয়ার দাবি তুলেছে টাইপা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy