কেন্দ্র ডেউচার খনিটি নিগমকে বরাদ্দ করলেও, জমি দেওয়া নিয়ে স্থানীয়দের একাংশ আপত্তি তোলেন। প্রতীকী ছবি।
ডেউচা পাঁচামি থেকে কয়লার বাণিজ্যিক উত্তোলন শুরুর জন্য ২০২৬-এর ডিসেম্বরের সময়সীমা বেঁধেছিল কেন্দ্র। তার আগেই প্রক্রিয়াটি চালু হবে বলে আশা রাজ্যের। মঙ্গলবার প্রকল্পের পুনর্বাসন সংক্রান্ত সমীক্ষার মোবাইল অ্যাপ ‘বীক্ষণ’-এর উদ্বোধন করে এ কথা জানান রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তাঁর ও রাজ্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগমের সিএমডি পি বি সেলিমের দাবি, গত দেড় বছরে প্রকল্পের অগ্রগতি পরিকল্পনার থেকে অনেক বেশি হয়েছে। প্রস্তাবিত এলাকার ৯০% পরিবার জমিদিতে রাজি।
কেন্দ্র ডেউচার খনিটি নিগমকে বরাদ্দ করলেও, জমি দেওয়া নিয়ে স্থানীয়দের একাংশ আপত্তি তোলেন। ৩৫০০ একরের মধ্যে ১০০০ একর সরকারি জমি। বাকিটা স্থানীয় বাসিন্দাদের। অরূপবাবুর অবশ্য দাবি, প্রকল্প এলাকার ৪৮৩৮টি পরিবারের মধ্যে ৪৩২৮টিই জমি দিতে রাজি। প্রতি পরিবারের এক জনকে চাকরি দেওয়ার যে প্রস্তাব রয়েছে, তাতে পুলিশে জুনিয়র কনস্টেবল এবং সরকারি দফতরে গ্রুপ-ডি পদে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে।
ডেউচা সমীক্ষার অ্যাপটি তৈরি নিগমেরই প্রযুক্তি বিভাগের। অরূপবাবু এবং সেলিম জানান, জমিদাতাদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করতে সমীক্ষকেরা বাড়ি গিয়ে তাঁদের সম্পত্তি, ভৌগোলিক অবস্থান ইত্যাদি খতিয়ে দেখে অ্যাপে তুলবেন। প্রাপ্ত ক্ষতিপূরণ, জমির বদলে চাকরি-সহ পুনর্বাসনের তথ্যও থাকবে। সে সব মূল তথ্য ভান্ডারে যোগ হবে। প্রকল্পের ভূতাত্ত্বিক সমীক্ষা চালাচ্ছে কোল ইন্ডিয়ার শাখা ‘সিএমপিডিআই’। তাঁদের ইঙ্গিত, রিপোর্ট মে-র শেষে মিলতে পারে।
নিগমের তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে দৈনন্দিন কাজের সব কিছু এক ছাতার তলায় এনে নজরদারি চালাতে ‘অনুবীক্ষণ’ নামে এক মঞ্চেরও উদ্বোধন করেন মন্ত্রী। কেন্দ্রে কয়লা ঢোকা থেকে উৎপাদন, সব কাজের প্রতি মুহূর্ত নজরদারিতে থাকবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy