এইচ-১বি ভিসা
ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের রক্তচাপ বাড়িয়ে এইচ-১বি ভিসা নিয়ে আরও কড়া হল ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। শুক্রবার ওয়াশিংটন থেকে জারি করা বিবৃতি থেকে স্পষ্ট, নতুন নীতিতে এইচ-১বি ভিসায় কর্মী নিয়োগের জন্য বাড়তি ঘাম ঝরাতে হবে সংস্থাগুলিকে। তাদের প্রমাণ করতে হবে যে, ওই কাজে ওই কর্মীর বিশেষ দক্ষতা একান্ত জরুরি বলেই সেখানে নিয়োগ করা হচ্ছে তাঁকে।
ট্রাম্প প্রশাসন মনে করে, ওই ভিসায় ভিন্দেশি কর্মী নিয়োগের জেরে কাজের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন অনেক মার্কিন। অনেক সময় ওই ভিসায় নিযুক্ত কর্মীদের সঙ্গে নিয়োগকারী সংস্থার বেতন দেওয়ার সম্পর্কও থাকে না। এ সব আটকাতেই ভিসা নিয়ে বাড়তি কড়াকড়ি।
ভারতে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলির সংগঠন ন্যাসকম জানিয়েছে, নতুন ভিসা নীতি খতিয়ে দেখছে তারা। তবে প্রাথমিক ভাবে মনে হয়েছে, এতে জটিলতা বাড়বে। সামলাতে হবে বেশি কাগজপত্র চালাচালির হ্যাপাও।
উল্লেখ্য, এইচ-১বি ভিসা হল কাজের সূত্রে মার্কিন মুলুকে অস্থায়ী ভাবে থাকার ছাড়পত্র। যে কাজে বিশেষ দক্ষতা লাগে (ইঞ্জিনিয়ারিং, ডাক্তারি, হিসাব রক্ষণ ইত্যাদি), তাতে আমেরিকার বা সেখানে অফিস থাকা কোনও সংস্থা মার্কিন মুলুকে কোনও বিদেশিকে নিয়োগ করতে চাইলে এই ভিসা জরুরি। নির্ভরশীল হিসেবে নেওয়া যায় পরিবারের সদস্যদের। ৫ বছর কাটালে পাকাপাকি ভাবে থাকার আবেদনও করা সম্ভব।
বরাত পাওয়া কাজে কর্মী পাঠাতে ভারতে সবচেয়ে বেশি এই ভিসা ব্যবহার করে টিসিএস, ইনফোসিস, উইপ্রোর মতো তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা। তাই সবচেয়ে বেশি দুশ্চিন্তায় তাদের সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়াররাই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy