স্বাদ বদল হচ্ছে খাস চায়ের দেশের পেয়ালায়। আর সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ব্যবসা বৃদ্ধির গন্ধ পাচ্ছেন ভারতের ব্যবসায়ীরা।
সবুজ চায়ের (গ্রিন টি) উপর অত্যধিক নির্ভরতা কমিয়ে কালো চায়ের (ব্ল্যাক টি) দিকে ঝুঁকছে চিনের নবীন প্রজন্ম। তাই এর উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি আমদানিতেও নজর দিচ্ছে চিন। ফলে বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে ভারতীয় চা। ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশনের (আইটিএ) আশা, এই বাজার ধরতে পারলে আগামী বছর চিনে ভারতীয় চায়ের রফতানি প্রায় ৫০% বাড়বে।
চা শিল্পের প্রসারে দুই দেশের মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে সম্প্রতি কলকাতায় আইটিএ-র সঙ্গে একটি চুক্তি সই করেছে চায়না টি মার্কেটিং অ্যাসোসিয়েশন (সিটিএমএ)। ওই সংগঠনের প্রেসিডেন্ট ওয়াং কিং জানান, তাঁদের দেশে বিভিন্ন ধরনের পানীয়ের পাশাপাশি বাড়ছে কড়া স্বাদের কালো সিটিসি চায়ের চাহিদা। আইটিএ-র চেয়ারম্যান বিবেক গোয়েন্কার আশা, আগামী বছর চিনে ভারতীয় চা রফতানি ১.৫ কোটি কেজিতে পৌঁছবে। তাঁর যুক্তি, শ্রীলঙ্কা থেকেও চা আমদানি করে চিন। কিন্তু সেই চা যথেষ্ট দামি। ফলে বাজার পাওয়ার ব্যাপারে ভারতের দামি সিটিসি ও দার্জিলিং চায়ের সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
চিনের চা • ৬০ শতাংশই গ্রিন টি। বাকিটা ব্ল্যাক, হোয়াইট, উলং টি ইত্যাদি। • এর পাশাপাশি বাড়ছে কড়া কালো সিটিসি চায়ের কদর। আমদানি • গত বছর প্রায় ৩ কোটি কেজি। • ১ কোটি কেজি শ্রীলঙ্কা থেকে। • প্রায় ৮৫ লক্ষ কেজি ভারতীয় চা। • উল্লেখযোগ্য পরিমাণ আমদানি কেনিয়া থেকে। সুযোগ কোথায় • ভারতীয় চায়ের দাম শ্রীলঙ্কার তুলনায় প্রায় অর্ধেক।
এই মুহূর্তে চিনে রফতানি হওয়া ভারতীয় চায়ের বড় অংশই সিটিসি। বাকিটা দার্জিলিং চা। যদিও রফতানির দৌড়ে এখনও পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার থেকে পিছিয়ে ভারত। ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, প্রচারের দৌড়ে পেছনে পড়ার জন্যই ব্যবসাতেও এক ধাপ পিছিয়ে গিয়েছে এ দেশের চা। তবে সাম্প্রতিক সমঝোতা অনুযায়ী, নতুন উদ্ভাবন, সবুজ ও কালো চায়ের প্রচার-সহ নানা ক্ষেত্রে এক সঙ্গে কাজ করবে ভারত ও চিন।
আইটিএ অবশ্য বলছে, চিনে ব্যবসা করার ক্ষেত্রে মাসুল, দেরিতে টাকা মেটানো-সহ কিছু সমস্যা রয়েছে। নিজস্ব পরীক্ষাগার ছাড়া অন্য কোনও স্বীকৃত পরীক্ষাগারের রিপোর্টও মানে না বেজিং। এগুলির সমাধানের ব্যাপারে সিটিএমএ-র কাছে আর্জি জানিয়েছে তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy