Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

পরিবেশ স্বাভাবিক হচ্ছে, দাবি উপাচার্যের

শিক্ষকরা বলছেন, অভিজিৎ চক্রবর্তী উপাচার্য হওয়ার যোগ্যই নন। পড়ুয়ারা বলছেন, ক্যাম্পাসে পুলিশ ডেকে ছাত্রছাত্রীদের পিটুনি খাওয়ানোর জন্য ইস্তফা দিন তিনি। কিন্তু উপাচার্য বলছেন, “আমার মনে হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ স্বাভাবিক হচ্ছে।” যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন-প্রতিবাদ অব্যাহত। তার মধ্যে বুধবার বিকেলে দফতর থেকে বেরোনোর সময় সাংবাদিকদের সামনে উপাচার্য মন্তব্য করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ স্বাভাবিক হচ্ছে। কেন এমন মনে হচ্ছে তাঁর? অভিজিৎবাবুর জবাব, “আমি আর কোনও কথা বলব না।”

প্রতিবাদ ধর্নায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা।  ছবি: শশাঙ্ক মণ্ডল।

প্রতিবাদ ধর্নায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। ছবি: শশাঙ্ক মণ্ডল।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০১৪ ০৩:০১
Share: Save:

শিক্ষকরা বলছেন, অভিজিৎ চক্রবর্তী উপাচার্য হওয়ার যোগ্যই নন। পড়ুয়ারা বলছেন, ক্যাম্পাসে পুলিশ ডেকে ছাত্রছাত্রীদের পিটুনি খাওয়ানোর জন্য ইস্তফা দিন তিনি। কিন্তু উপাচার্য বলছেন, “আমার মনে হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ স্বাভাবিক হচ্ছে।”

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন-প্রতিবাদ অব্যাহত। তার মধ্যে বুধবার বিকেলে দফতর থেকে বেরোনোর সময় সাংবাদিকদের সামনে উপাচার্য মন্তব্য করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ স্বাভাবিক হচ্ছে। কেন এমন মনে হচ্ছে তাঁর? অভিজিৎবাবুর জবাব, “আমি আর কোনও কথা বলব না।”

ক্যাম্পাসে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফেরানোর ব্যাপারে মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ে গণ কনভেনশনের আয়োজন করেছিল জুটা। সেই সভায় এমেরিটাস অধ্যাপক সুকান্ত চৌধুরী বলেছিলেন, “আমরা যে যাদবপুরকে চিনি, দুনিয়া যে যাদবপুরকে চেনে, যতক্ষণ পর্যন্ত সেই পরিবেশ না ফিরছে, তার আগে প্রত্যেক ছাত্র প্রত্যেক দিন সব ক্লাস করলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরবে বলে আমি মনে করি না।” বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা, স্বাধীন ভাবনাচিন্তার পরিবেশ না ফিরলে তাকে ‘স্বাভাবিক’ বলে মানতে নারাজ সুকান্তবাবুর মতো অনেক প্রবীণ অধ্যাপক। ১৩ অক্টোবর থেকে ক্লাসে ফিরেছেন যাদবপুরের ছাত্রছাত্রীরা। কিন্তু রোল কলে সাড়া দিচ্ছেন না। পড়ুয়াদের বক্তব্য, ক্লাসে ফিরলেও উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি থেকে সরছেন না তাঁরা।

বিজ্ঞানী বিকাশ সিংহ ওই কনভেনশনে ই-মেল বার্তা পাঠিয়ে ক্যাম্পাসে স্বাভাবিক পরিবেশ ফেরানোর আবেদন জানিয়েছিলেন। বুধবার তিনি বলেন, “একটা জায়গায় ক্লাস হচ্ছে, অন্যত্র হচ্ছে না, সেটাকে ঠিক স্বাভাবিক পরিবেশ বলা চলে না। ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থে পঠনপাঠন দ্রুত স্বাভাবিক হোক, এটাই আমি চাই।” জুটা-র সাধারণ সম্পাদক নীলাঞ্জনা গুপ্ত বলেন, “উপাচার্য স্বাভাবিক পরিবেশ বলতে যা বুঝিয়েছেন, তার সঙ্গে আমাদের মতের যে ফারাক আছে, তা মঙ্গলবারের কনভেনশনেই অনেকটা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিধি, কাজকর্ম ইত্যাদির ব্যাপারে ওঁর মতামতের সঙ্গে আমাদের আদর্শগত তফাত আছে।”

এ দিন দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন নিয়ে আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন অভিজিৎবাবু। সমাবর্তনে কাদের সাম্মানিক ডি লিট দেওয়া হবে, কে-ই বা প্রধান অতিথি হবেন, সে সব নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর। এক আধিকারিক বলেন, “নিজের দায়িত্ব পালন করছেন অভিজিৎবাবু। ক্লাসও শুরু হয়েছে। সে জন্যই হয়তো উপাচার্যের মনে হচ্ছে ক্যাম্পাসের পরিবেশ স্বাভাবিক।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE