ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট আসার আগে পর্যন্ত কলকাতা মেডিক্যাল কলেজেই থাকছে বাগমারি থেকে উদ্ধার হওয়া সদ্যোজাত। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যদি শিশুটিকে মা সরস্বতী নস্করের হাতে তুলে দিতে বলে, পুলিশ বন্ডে সই করিয়ে আপাতত তা-ই করবে। সোমবার কলকাতা শিশু কল্যাণ সমিতির কাছে এমনই রিপোর্ট পাঠালেন ওই ঘটনার তদন্তকারী অফিসারেরা। যদিও হাসপাতালের তরফে এখনই সরস্বতীকে ছাড়ার কোনও কথা বলা হয়নি বলেই খবর।
পুলিশ সূত্রের খবর, গত ১৫ মার্চ কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের প্রসূতি বিভাগ থেকে সরস্বতী নস্করের সদ্যোজাত ছেলে চুরি যায় বলে অভিযোগ ওঠে। তার ভিত্তিতে পুলিশ তদন্তে নামে এবং রাতেই বাগমারি এলাকা থেকে শিশু-সহ চিন্ময়ী বেজ নামে এক মহিলাকে আটক করে। জানা যায়, ওই মহিলাই শিশু-সহ সরস্বতীকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার নাম করে ওয়ার্ড থেকে বার করে আনেন এবং পরে মাকে রক্তের কার্ড আনতে পাঠিয়ে শিশুটিকে নিয়ে পালিয়ে যান।
জেরায় চিন্ময়ী সে কথা স্বীকারও করেন বলে পুলিশ জানায়। কিন্তু জেরায় স্বীকার করলেও পুলিশের তদন্ত শেষ হওয়া জরুরি। আর তা সম্ভব ডিএনএ রিপোর্ট এলেই। ফলে পুলিশের পক্ষে যেমন শিশুপুত্রটিকে মায়ের হাতে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না, হাসপাতালও তেমনই সরস্বতীকে খালি হাতে ছে়ড়ে দিতে পারছে না। তাই এখন ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy