ভাঙন: এ পথেই যাতায়াত। নিজস্ব চিত্র
বছর দু’য়েক আগেই দক্ষিণ শহরতলিতে কেওড়াপুকুর খাল সংস্কার করা হয়েছিল। এই খাল সংস্কারের পরেই খাল সংলগ্ন রাস্তার একাংশ এবড়ো-খেবড়ো হয়ে গিয়েছে। কোথাও কোথাও বসেও গিয়েছে। তারামনি ঘাট রোডের অবস্থা এরকমই। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই রাস্তা মেরামতি করা হয়নি। ফলে, অসুবিধায় পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। কলকাতা পুরসভার বক্তব্য, খালধারের যে অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেই অংশটি সেচ দফতরের মেরামতি করার কথা।
রাজ্যের সেচ দফতরের মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘খালের সংস্কারের সময়ে খাল সংলগ্ন রাস্তার মেরামতিও সমগ্র প্রকল্পের মধ্যে ধরা থাকে। এক্ষেত্রেও রয়েছে। এখনও কেন রাস্তা মেরামতি করা হয়নি তা দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
এই রস্তার এক দিকে জনবসতি। অন্য দিকে, রয়েছে খাল। বাসিন্দাদের এই রাস্তা দিয়ে গিয়ে মূল রাস্তায় পড়তে হয়। স্থানীয় বাসিন্দা শম্ভু সাহা জানান, রাস্তা খারাপ থাকায় এই রাস্তায় চলাচল করাই দায়। রাস্তার এবড়ো-খেবড়ো অবস্থা। এ ছাড়া একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তা কাদা হয়ে যায়।
এই রাস্তাটি কলকাতা পুরসভার ১১৪ এবং ১১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সংযোগস্থল। কলকাতা পুরসভার ১১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর রত্না শূর বলেন, ‘‘রাস্তার অবস্থা যে খারাপ এই নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। সেচ দফতরকে রাস্তা মেরামতির ব্যাপারে জানানো হয়েছে। সেচ দফতর জানিয়েছে, এই রাস্তার দ্রুত মেরামতি করা হবে।’’
কেওড়াপুকুর খাল শহরের অন্যতম খাল যার মাধ্যমে দক্ষিণ কলকাতা ও শহরতলির বিস্তীর্ণ অংশের নিকাশির জল বের করা হয়। পলি পরে এই খাল ভরাট হয়ে যাওয়ার ফলে নিকাশির সমস্যা হয়। বিশেষত বর্ষায় জল বেরোত না। ফলে, দক্ষিণ শহরতলির একাংশ প্লাবিত হত। সেই কারণে অন্যান্য খালের সঙ্গে এই খাল সংস্কারেরও পরিকল্পনা করা হয়। বছর দু’য়েক আগে খাল থেকে পলি মাটি তুলতে শুরু করে সেচ দফতর। প্রায় মাস চারেক ধরে এই কাজ চলে।
সেচ দফতরের এক আধিকারিক জানান, কেওড়াপুকুর খাল থেকে পলি তোলার সময়ে অনেক ভারী যন্ত্রপাতি এই রাস্তা দিয়ে আনা হয়েছিল। সেই সময়েই এই রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তার পর থেকেই একই অবস্থায় রয়েই গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, কেবলমাত্র রাস্তাই নয়, ধস নামলে রাস্তার ধারে যে বাড়িগুলি রয়েছে সেগুলিও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy