ছবি: সংগৃহীত।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে টিএমসিপি-র দুই গোষ্ঠীর গোলমালের জেরে উপাচার্য আহত হওয়ায় ক্ষোভ উগরে দিল প্রশাসন। প্রয়োজনে পড়ুয়াদের প্রতি আরও কঠোর হতে হবে বলে জানালেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তারা। শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি ভবনে কাদম্বিনী হলের একটি সভায় ওই ঘটনায় ধিক্কার জানালেন কর্তারা।
গত সোমবার বিভিন্ন দাবি নিয়ে উপাচার্যের ঘরের সামনে অবস্থান করেন একদল পড়ুয়া। তখন তাঁদের পাশে দাঁড়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক লগ্নজিতা চক্রবর্তী। অভিযোগ, টিএমসিপি-র সদস্য আব্দুল কাইয়ুম মোল্লা তাঁর দলবল নিয়ে লগ্নজিতাদের উপর চড়াও হয়ে মারধর করেন। তখন উপাচার্য বেরোতে গেলে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। গুরুতর আহত হন উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সহ উপাচার্য (অর্থ) মীণাক্ষি রায়। এ দিনও শয্যাশায়ী ছিলেন সোনালিদেবী। এই ঘটনায় গোটা শিক্ষা শিবিরে সমালোচনার ঝড় ওঠে। বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএমসিপি সদস্যদের ভর্ৎসনা করেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা দাবি করেন, নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তাঁরা। এ দিনের ধিক্কার সভায় বারবার উঠে আসে সেই কথা।
রেজিস্ট্রার রাজাগোপাল ধরচক্রবর্তী এ দিন বলেন, ‘‘পড়ুয়াদের এই ভূমিকা মেনে নেওয়া যায় না। প্রয়োজনে আমাদের আরও কঠোর হতে হবে।’’ সহ উপাচার্য (শিক্ষা) দীপক কর বলেন, ‘‘এই ঘটনায় আমরা প্রত্যেকে বিচলিত।’’ সকলকে মানবিক হওয়ার আবেদন জানান তিনি। পাশাপাশি, উপাচার্যের ঘরের সামনে সিসি ক্যামেরা বসিয়ে নিরাপত্তা বৃদ্ধির পক্ষেও সওয়াল করেন অনেকে। সভায় উপস্থিত ছিলেন মীণাক্ষিদেবীও।
এ দিনের সভায় ছাত্রদের তরফে যোগ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নেতা তথা টিএমসিপি-র সহ সভাপতি মণিশঙ্কর মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘‘পড়ুয়াদের দাবি থাকতেই পারে। তবে তা শৃঙ্খলা বজায় রেখেই করা উচিত। আমি ছাত্র সমাজের হয়ে ওই ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।’’ তবে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শেষ না হওয়া পর্যন্ত পরিস্থিতির উন্নতি হবে কি না, তা নিয়ে সংশয়ে শিক্ষা মহল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy