পুজোর পরপরই ৬ অক্টোবর যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে শুরু হচ্ছে অনূর্ধ্ব-১৭ যুব বিশ্বকাপের আসর। তাকে ঘিরে সৌন্দর্যায়নের কাজ চলছে সল্টলেকে। ফুটবলের এই মহাযজ্ঞে যান চলাচল যাতে মসৃণ হয়, সে জন্য রাস্তা খোলা রাখতে ঝুপড়ি দোকান ও হকার উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিধাননগর প্রশাসন।
কিন্তু পুজোর মুখে প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে রুটি-রুজি বন্ধ হওয়ার আশঙ্কায় অস্থায়ী দোকানদারেরা। সোমবার তাঁরা বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্তের কাছে স্মারকলিপি দেন। দোকানদারদের বক্তব্য, বিশ্বকাপের জন্য তাঁরা অবশ্যই সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করবেন। কিন্তু এর জন্য পুজোর মধ্যে তাঁদের দৈনন্দিন রোজগার বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। তাই পরিবারগুলির কথা ভেবে প্রশাসনের কাছে পুনর্বাসন এবং বিশ্বকাপ শেষে পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
মেয়র অবশ্য জানিয়েছেন, যুব বিশ্বকাপের জন্য উচ্ছেদ কমিটি এবং পুলিশ একটি রূপরেখা তৈরি করছে। সেই অনুসারে যে সব জায়গায় উচ্ছেদ হবে, সেখানে কাউকেই বসতে দেওয়া হবে না। তবে যদি পুলিশ বা উচ্ছেদ কমিটি বসার অনুমতি দেয়, সে ক্ষেত্রেও ফুটপাথ দখল করে বাঁশ ও প্লাস্টিক খাটিয়ে ব্যবসা করা যাবে না। পাশাপাশি সব্যসাচীবাবু জানান, নতুন করে অস্থায়ী দোকানও বসতে দেওয়া হবে না।
হকারদের একটি সংগঠনের প্রতিনিধি সুজিত পাল এ দিন জানান, সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করতে তাঁরা প্রস্তুত। তাঁরা নিজেরাই ছাউনি সরিয়ে নিচ্ছেন। কিন্তু যাঁরা দীর্ঘ দিন ব্যবসা করছেন, ২ মাসের জন্য তাঁদের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে। ওই দোকানদারদের পরিবারের কথা ভেবে পুনর্বাসন দেওয়া হোক।
ঘটনাচক্রে, এ দিনই বিধাননগর পুর ভবনে উচ্ছেদ কমিটির বৈঠক হয়। ওই কমিটিতে পুর কমিশনার, দু’জন মেয়র পারিষদ, ডিসি পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিক রয়েছেন। তবে প্রশাসনের একাংশের বক্তব্য, আন্তর্জাতিক ইভেন্ট যাতে সুষ্ঠু ভাবে মেটে, সে জন্য অস্থায়ী কিছু পদক্ষেপ করতে হচ্ছে। তবে কারও ক্ষতি যাতে না হয়, সে দিকেও খেয়াল রাখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy