বাগুইআটির দেশবন্ধু নগরের পরে নিউ টাউনের চণ্ডীবেড়িয়া। আদালতের নির্দেশ মেনে ফের বেআইনি নির্মাণ ভাঙল বিধাননগর পুরসভা। শুক্রবার চণ্ডীবেড়িয়ার একটি চারতলা বাড়ি ভাঙার কাজ শুরু করেছেন পুরকর্মীরা।
বর্তমান পুরবোর্ড দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বেআইনি নির্মাণ নিয়ে একাধিক অভিযোগ জমা পড়ছিল পুরসভায়। চণ্ডীবেড়িয়ার এই চারতলা নির্মাণের বিষয়টি বিচারাধীন ছিল হাইকোর্টেও। পুরসভা সূত্রে খবর, সম্প্রতি আদালত থেকে বাড়িটি ভাঙার নির্দেশ আসে। এ দিন গ্যারাজ-সহ বাড়িটির কিছু অংশ ভেঙেছেন পুরকর্মীরা। যদিও সেখানে এখনও আবাসিকেরা রয়েছেন। তাঁদের একাংশের অভিযোগ, তাঁরা পুনর্বাসনের জন্য সময় চাওয়া সত্ত্বেও তা দেওয়া হয়নি।
পুরসভা সূত্রে খবর, সাবেক রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভার আওতায় থাকা চণ্ডীবেড়িয়ায় চারতলা এই বাড়িটি তৈরি হয় বছরখানেক আগে। মিউটেশন থেকে কর প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার পরে অভিযোগ ওঠে বেআইনি নির্মাণের। প্রশ্ন উঠেছে, বেআইনি নির্মাণে কী ভাবে রাজারহাট-গোপালপুর পুর প্রশাসন অনুমতি দিয়েছিল? সাবেক ওই পুরসভার চেয়ারম্যান তথা বর্তমানে বিধাননগর পুরসভার ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ঘটনাটি সে ভাবে মনে নেই। পুরসভা কখনও অবৈধ প্ল্যানের অনুমতি দেয়নি। যে প্ল্যান জমা পড়েছিল, তা সমীক্ষা করেই অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।’’ বাসিন্দাদের দাবি, যাঁরা অনুমতি দিয়েছিলেন তাঁদের শাস্তি হোক।
বিধাননগর পুরসভার শুধু রাজারহাট-গোপালপুর অংশেই ১৭১টি বেআইনি বাড়ির ক্ষেত্রে তদন্ত শুরু করেছে পুরসভা। সল্টলেকেও ৬৭টি বাড়ির বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। মেয়র সব্যসাচী দত্ত বলেন, ‘‘যে সব অভিযোগ জমা পড়ছে, তার তদন্ত করে আইনি পদক্ষেপ করা হচ্ছে। কোনও ভাবেই বেআইনি নির্মাণ বরদাস্ত করবে না পুরসভা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy