অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কলেজের ছাত্র সংসদের প্রতিনিধিদের হাতে এক ছাত্রীর মা আক্রান্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠল। পাটুলির কে কে দাস কলেজের ওই ঘটনায় থানায় অভিযোগ করেছেন মহিলা। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়ে অভিযোগ করেছেন অধ্যক্ষের কাছেও। পুলিশ জানিয়েছে, এটি কলেজের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। তবে কর্তৃপক্ষ চাইলে তারা হস্তক্ষেপ করবে। কমিটি গড়ে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন অধ্যক্ষ রামকৃষ্ণপ্রসাদ চক্রবর্তী।
পুলিশ জানায়, মহিলা অভিযোগপত্রে দাবি করেছেন, তাঁর মেয়ে ওই কলেজের ইংরেজি স্নাতক স্তরের পড়ুয়া। উপস্থিতির হার কম থাকায় এবং পরীক্ষায় খারাপ ফল করায় প্রথম বর্ষের টেস্টে তাঁকে পাশ করানো হয়নি। মহিলার দাবি, মেয়েকে ফাইনাল পরীক্ষায় বসতে দেওয়ার অনুরোধ জানাতে শুক্রবার অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলতে যান তিনি। অধ্যক্ষ ইংরেজির বিভাগীয় প্রধানের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। সে জন্য শনিবার ফের কলেজে গেলে মহিলাকে জানিয়ে দেওয়া হয়, তাঁর মেয়েকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া সম্ভব নয়।
ছাত্রীটির মায়ের অভিযোগ, বারবার অনুরোধ করতে থাকলে ছাত্র সংসদের প্রতিনিধিদের ডেকে তাঁকে বার করে দেওয়ার নির্দেশ দেন অধ্যক্ষ। মহিলা বলেন, ‘‘আমি ওঁদের বলি, আমি তোমাদের মায়ের মতো। এ রকম করো না। কিন্তু কিছু না শুনে ধাক্কা মেরে বার করে দিল। বলল, থানায় যান। পুলিশ কিছু করবে না।’’
কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক সৈকত রায় বলেন, ‘‘আমরা শুধু বেরিয়ে যেতে বলেছি। ওঁর মেয়ে সব মিলিয়ে পাঁচ পেয়েছে!’’ তাই বলে কি কারও সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা যায়? অধ্যক্ষ রামকৃষ্ণবাবু বলেন, ‘‘এমন কিছু ঘটেছে বলে জানি না। তদন্ত কমিটি গড়েছি। তারাই খতিয়ে দেখবে।’’ ছাত্র সংসদের প্রতিনিধিদের ডাকা প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ‘‘সমস্যার পড়লে ছাত্রদের ছাড়া আর কাকে ডাকব?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy