Advertisement
০৮ মে ২০২৪
রৌনক-মৃত্যু

খুনের ধারা যোগ করে তদন্ত শুরু

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রৌনক সাহার মৃত্যুতে খুনের মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করল পুলিশ। পাশাপাশি, রহস্য উদ্ঘাটনে রৌনকের সহপাঠী এবং বন্ধুদের হোয়াট্‌সঅ্যাপ গ্রুপ এবং ফেসবুক খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০১৬ ০১:০৯
Share: Save:

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রৌনক সাহার মৃত্যুতে খুনের মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করল পুলিশ। পাশাপাশি, রহস্য উদ্ঘাটনে রৌনকের সহপাঠী এবং বন্ধুদের হোয়াট্‌সঅ্যাপ গ্রুপ এবং ফেসবুক খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।

গত ২৪ নভেম্বর চার বন্ধুর সঙ্গে গঙ্গাবিহারে গিয়ে তলিয়ে যান রৌনক। তিন দিন পরে ফেয়ারলি জেটির নীচ থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। ছেলে নিখোঁজ থাকাকালীন রৌনকের বাবা সুব্রত সাহা মৌখিক ভাবে গাফিলতির অভিযোগ করেছিলেন। কিন্তু, রবিবার ছেলের দেহ মেলার পরে দক্ষিণ বন্দর থানায় ছেলের এক বন্ধুর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করেন সুব্রতবাবু। নৌকায় তোলা রৌনকের একটি ছবি পুলিশকে দিয়ে তিনি অভিযোগ করেন, রৌনকের মৃত্যুর পিছনে রহস্য রয়েছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, ওই অভিযোগ পাওয়ার পরে আইনজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা। তাঁদের পরামর্শ মতো বুধবার খুনের ধারা যুক্ত করা হয় রৌনকের মৃত্যু-মামলায়। যা বৃহস্পতিবার আদালতকে জানানো হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ দিন মৃত ছাত্রের পরিবারের তরফে দেখা করে কথা বলা হয় ডেপুটি কমিশনার (বন্দর) সুদীপ সরকারের সঙ্গে।

তদন্তকারীরা জানান, ঘটনার পরেই সুব্রতবাবুর অভিযোগের ভিত্তিতে রৌনকের চার বন্ধু এবং নৌকার মাঝির বিরুদ্ধে গাফিলতির ধারায় মামলা করা হয়েছিল। তার ভিত্তিতে গ্রেফতারও করা হয় মাঝি শেখ সইফুদ্দিনকে। বাকিদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেয় পুলিশ। কিন্তু পরে নিজের অবস্থান বদল করে সুব্রতবাবু অভিযোগ করেন, তাঁর ছেলেকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে। পুলিশের দাবি, ধাক্কা মেরে রৌনককে জলে ফেলে দেওয়ার সম্ভাবনার কথা বলেন সুব্রতবাবু।

পুলিশ সূত্রের খবর, রৌনকের মৃত্যু-জট কাটাতে এ দিন তদন্তকারীরা কথা বলেন ওই ছাত্রের ঘনিষ্ঠ তিন সহপাঠীর সঙ্গে। ঘটনার আগে কারও সঙ্গে রৌনকের বিবাদ হয়েছিল কি না, তা-ও জানতে চান তাঁরা। উল্লেখ্য, ওই ছাত্রের মৃত্যু রহস্যের জট কাটাতে সোমবার মাঝগঙ্গায় ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল রৌনকের দুই বন্ধু এবং মাঝি শেখ সইফুদ্দিনকে।

বন্ধুদের জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি পুলিশের তরফে তাঁদের মোবাইলও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তকারীদের দাবি, অভিযোগে ত্রিকোণ প্রেমের সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছিল। সে কারণে বন্ধুদের বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। তবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলার পরে পুলিশের একাংশ দাবি করেছে, খুনের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা মেলেনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Rounak Saha murder case
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE