প্রতীকী ছবি।
গলার নলি ও হাতের শিরা কাটা অবস্থায় রাজাবাগানের এ কে রোডের একটি বাড়ি থেকে মঙ্গলবার উদ্ধার হয়েছিল তরুণী ইশরাত জাহানের দেহ। তাঁর মা নুসরত বেগমের অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার রাতে নাদিয়াল বাসস্ট্যান্ডের কাছ থেকে ইশরাতের স্বামী মহম্মদ নাসিরুদ্দিনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। গোয়েন্দারা এক প্রকার নিশ্চিত, নাসিরুদ্দিনই খুন করেছেন স্ত্রীকে।
পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেলে ওই তরুণীর দেহ উদ্ধার হলেও সোমবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে ময়না-তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে ইঙ্গিত মিলেছে। তদন্তকারীদের অনুমান, নাসিরুদ্দিন প্রথমে ইশরাতের গলার নলি কাটলেও মৃত্যু নিশ্চিত করতে তাঁর হাতের শিরা কেটে দেন। তবে খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রটি এখনও উদ্ধার হয়নি।
পুলিশ জেনেছে, প্রথম স্ত্রীকে তালাক না দিয়েই ইশরাতকে বিয়ে করেন নাসিরুদ্দিন। তার পরে উঠে আসেন রাজাবাগানের বাড়িতে। কিন্তু সেখানেও সংসার চালানোর খরচ দিতে না পারায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই অশান্তি হত। দু’-দিকের টানাপড়েনেই নাসিরুদ্দিন ইশরাতকে খুন করেছেন বলে অনুমান তদন্তকারীদের।
পুলিশ সূত্রের খবর, পেশায় অটোচালক নাসিরুদ্দিনের সঙ্গে কয়েক মাস আগে ইশরাতের পরিচয়। ক্রমে দু’জনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু নাসিরুদ্দিন প্রথম পক্ষের স্ত্রীকে ছাড়তে পারেননি। এরই মধ্যে ইশরাতকে বিয়ে করেন তিনি। তদন্তকারীরা আরও জেনেছেন, নাসিরুদ্দিন বেরিয়ে যাওয়ার আগে সকাল ৯-১০টার মধ্যে ইশরাতকে তাঁর মায়ের কাছে রেখে আসতেন। কিন্তু মঙ্গলবার ১১টা বেজে গেলেও মেয়ে আসছে না দেখে ইশরাতের মা নুসরত জামাইকে ফোন করেন। পুলিশ সূত্রের খবর, নাসিরুদ্দিন নুসরতকে জানান, আগের রাতে অনেক কাজ করে ইশরাত শুয়েছেন। তাই দেরি করে মায়ের কাছে যাবেন।
কিন্তু দুপুর ২টোর পরেও মেয়ে না আসায় নুসরত চলে আসেন মেয়ের বাড়িতে। ঘর তালাবন্ধ দেখে সন্দেহ হওয়ায় তিনি কাঠের দোকান থেকে এক জনকে ডেকে নিয়ে তালা ভাঙান। তখনই ইশরাতের দেহ উদ্ধার হয়।
তদন্তে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ১১টায় নুসরতের ফোন ধরার পরেও নাসিরুদ্দিনের মোবাইল চালু ছিল। সেটির শেষ টাওয়ার লোকেশন মিলেছে বিকেল ৩টের সময়ে, নাদিয়াল বাসস্ট্যান্ডে। তার পরেই মোবাইল বন্ধ করে দেন নাসিরুদ্দিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy