Advertisement
০৮ মে ২০২৪

মালিককে কুপিয়ে খুন করে সোনার দোকানে সশস্ত্র ডাকাতি সোনারপুরে

ভরসন্ধ্যায় থানা থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে সোনার দোকানে একদল সশস্ত্র দুষ্কৃতীর হামলায় নিহত হলেন দোকানের মালিক। গুরুতর আহত দুই কর্মচারী ও এক পথচারী মহিলা। লুঠ হওয়া গয়নার পরিমাণ এখনও জানা যায়নি।

হামলা: দোকানের সামনে পড়ে রক্ত। রবিবার। ছবি: শশাঙ্ক মণ্ডল

হামলা: দোকানের সামনে পড়ে রক্ত। রবিবার। ছবি: শশাঙ্ক মণ্ডল

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০১৭ ০২:২০
Share: Save:

ভরসন্ধ্যায় থানা থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে সোনার দোকানে একদল সশস্ত্র দুষ্কৃতীর হামলায় নিহত হলেন দোকানের মালিক। গুরুতর আহত দুই কর্মচারী ও এক পথচারী মহিলা। লুঠ হওয়া গয়নার পরিমাণ এখনও জানা যায়নি। পুলিশ জানায়, রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ সোনারপুর স্টেশন সংলগ্ন দোকানে ওই হামলার ঘটনা ঘটেছে। দুষ্কৃতীরা এখনও অধরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আচমকা এসে দোকানের সামনে দু’টি বোমা ছোড়ে জনা আটেক দুষ্কৃতীর একটি দল। আশপাশ থেকে পালিয়ে যান অনেকে। এই অবস্থায় দোকানে ঢুকে পড়ে দুষ্কৃতীরা। দোকান মালিক ও দুই কর্মচারী বাধা দিতে গেলে, তাঁদের আক্রমণ করে তারা।

স্থানীয় সূত্রে খবর, কয়েক জন মিলে মালিক দীপক দেবনাথকে মারতে মারতে বাইরে নিয়ে আসে। তার পর চপার দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। সামনে পথচারী এক মহিলা পড়ে গেলে তিনিও আহত হন বলে সূত্রের খবর। ইতিমধ্যে ভিতরের কর্মচারী সুব্রত মণ্ডল ও দীপঙ্কর রায়চৌধুরীকে গুলি করে বাকি দুষ্কৃতীরা। এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে ভর সন্ধে বেলায় এ ভাবেই গয়না লুঠ করে দুষ্কৃতীরা। গুরুতর জখম দোকান মালিক পরে হাসপাতালে মারা যান।

খবর পেয়ে কিছু ক্ষণের মধ্যেই পৌঁছয় পুলিশ। ততক্ষণে একাধিক বোমা ছুড়তে ছুড়তে রেললাইন টপকে পালায় দুষ্কৃতীদল। তাদের সঙ্গে কোনও মোটরবাইক বা গাড়ি ছিল না। আহতদের বাঙুরে পাঠায় পুলিশ।

ঘটনার পরে অনেক ক্ষণ তাজা রক্ত পড়েছিল দোকানের সামনে। রোললাইনে বোমা পড়েছিল বলে ব্যাহত হয় ট্রেন চলাচলও। ভরসন্ধেয় থানার সামনে এমন ঘটনা কী করে ঘটল, সেই দাবিতে থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, বহু দিন ধরে পরিকল্পনা করে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে দুষ্কৃতীরা। মালিকের সঙ্গে কারও ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে এমনটা হয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। সংগ্রহ করা হয়েছে দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাত জন ব্যক্তি সাড়ে সাতটা নাগাদ ক্রেতা সেজে দোকানে ঢোকে। দোকানে ঢুকেই শাটার নামিয়ে দেয়। শো-কেস থেকে সোনার গয়না নিয়ে নেয়। দোকান মালিকের কাছে লকারের চাবি চায়। দোকান মালিক চাবি না দেওয়াতেই হামলা চালায়। মাত্র ১০-১৫ মিনিটে ডাকাতি করে দোকান থেকে ছুটে বেরিয়ে যায়। বোমা ও গুলির ভয়ে ও আতঙ্কে পথচারীরার তখন যে যে দিকে পেরেছেন পালানোর চেষ্টা করতে থাকেন। সেই সুযোগে ভিড়ের মধ্যে মিশে পালায় দুষ্কৃতীরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Gold Shop Shop Owner
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE