Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

ভুয়ো পরিচয়ে প্রতারণা, গ্রেফতার যুবক

পুলিশ ঘটনা সবিস্তারে জানতে চাইলে বেঁকে বসেন ব্যক্তি। এমনকী এক পুলিশকর্মীকে মারধর করে তাঁর উর্দিও ছিঁড়ে দেন বলে অভিযোগ। ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, তিনি ভুয়ো পরিচয় দিয়েছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০১৭ ০০:৪৪
Share: Save:

রাতে থানায় ডিউটি করছিলেন পুলিশকর্মীরা। ফোন বেজে উঠল। অন্য প্রান্তে থাকা ব্যক্তি প্রথমেই পুলিশের এক শীর্ষ কর্তার নাম নিয়ে দাবি করেন তিনি ‘মরিশাসের কনসাল জেনারেল’। ঠিকানা দিয়ে জানান, তাঁর বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে। পুলিশ সোজা গিয়ে হাজির হয় কেয়াতলা রোডের ফ্ল্যাটে। সেখানে তখন উপস্থিত লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের অফিসারেরাও।

পুলিশ ঘটনা সবিস্তারে জানতে চাইলে বেঁকে বসেন ব্যক্তি। এমনকী এক পুলিশকর্মীকে মারধর করে তাঁর উর্দিও ছিঁড়ে দেন বলে অভিযোগ। ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, তিনি ভুয়ো পরিচয় দিয়েছেন। পুলিশকে মারধর এবং ভুয়ো পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে দিবাংশ কারনানি নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে লেক থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে, কেয়াতলা রোড থেকে। শুক্রবার আদালতে তোলা হলে তাঁর জেল হেফাজত হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, কেয়াতলার বাড়িতে পক্ষাঘাতে আক্রান্ত এক দাদার সঙ্গে থাকেন দিবাংশ। তাঁদের এক পরিচারিকা রয়েছেন। অভিযোগ, সেই রাতে মত্ত অবস্থায় তিনি পরিচারিকাকে একটি কাজ করতে বলেছিলেন। কিন্তু পরিচারিকা জানান, তিনি পরের দিন সেটি করবেন। এতে রেগে জিনিসপত্র লণ্ডভণ্ড করে পুলিশে ফোন করেন দিবাংশ। পুলিশ জানায়, ঘটনার রাতে পুলিশের সঙ্গে মজা করার পাশাপাশি ওই পরিচারিকাকে ‘উচিত শিক্ষা’ দিতে চেয়েছিলেন দিবাংশ। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে লেক থানায় একটি প্রতারণার মামলাও রয়েছে।

তদন্তকারীরা জানান, ভুয়ো পরিচয়ে লেক থানায় ফোন করার কিছু ক্ষণের মধ্যেই লালবাজারেও ফোন করেন দিবাংশ। পুলিশের দাবি, তাঁরা কেয়াতলের রোডের বাড়িতে পৌঁছে দেখেন, এক মহিলা ঘরে বসে কাঁদছেন। চার দিকে জিনিস ছড়ানো। দিবাংশ পুলিশের কাছে দাবি করেন, ওই মহিলা ডাকাতিতে জড়িত। পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে যাক। পুলিশ বাড়িটি ঘুরে দেখতে চাইলে দিবাংশ আপত্তি করেন। পুলিশের দাবি, ওই পরিচারিকাকে গ্রেফতার করে নিয়ে না গেলে লালবাজারের এক শীর্ষ কর্তার কাছে অভিযোগ জানাবেন বলে হুমকিও দেন দিবাংশ।

গোয়েন্দারা জানান, দিবাংশের কথায় অসঙ্গতি মেলায় তাঁরা ওই মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এতেই সত্য বেরোয়। লালবাজারের ওই শীর্ষকর্তাকে ফোন করলে তিনি জানান, ওই নামে কাউকে চেনেন না। তল্লাশির কথা বললে লেক থানার অফিসার তাপস বৈদ্যের উর্দিও ছিঁড়ে দেন বলে অভিযোগ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

arrest Fraudary Fraud Case
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE