Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

টুকরো খবর

টিফিনের সময়ে খেলতে গিয়ে জামা-জুতোয় কাদা লাগিয়ে ফেলেছিল চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রটি। ক্লাসে ঢুকতে গিয়ে দেওয়ালে কাদা লেগে যাওয়ায় জুটল প্রধান শিক্ষকের বেদম মার। ছাত্রটির পরিবারের অভিযোগ অন্তত তেমনই। হুগলির বলাগড়ের খামারগাজির একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ছাত্রটিকে বৃহস্পতিবার প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে চিকিত্‌সা করানো হয়েছে।

শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০১৪ ০১:৫০
Share: Save:

মারধরে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক
নিজস্ব সংবাদদাতা • বলাগড়

টিফিনের সময়ে খেলতে গিয়ে জামা-জুতোয় কাদা লাগিয়ে ফেলেছিল চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রটি। ক্লাসে ঢুকতে গিয়ে দেওয়ালে কাদা লেগে যাওয়ায় জুটল প্রধান শিক্ষকের বেদম মার। ছাত্রটির পরিবারের অভিযোগ অন্তত তেমনই। হুগলির বলাগড়ের খামারগাজির একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ছাত্রটিকে বৃহস্পতিবার প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে চিকিত্‌সা করানো হয়েছে। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে ছাত্রের পরিবার। রাত পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করেনি। পুলিশ জানায়, আহত ছাত্রের নাম শিবনাথ পোড়েল। বাড়ি অশ্চিতপুরে। বুধবার টিফিনে খেলার সময়ে তার জামা-জুতোয় কাদা লাগে। টিফিনের পর সেই অবস্থাতেই সে ক্লাসে ঢুকে পড়ে। দেওয়ালে কাদা লেগে যায়। পরিবারের অভিযোগ, বিষয়টি নজরে পড়েছিল প্রধান শিক্ষক সুভাষ মালোর। তিনি ক্লাসে ঢুকে বেঞ্চের নীচে শিবনাথের মাথা ঢুকিয়ে পিঠে কিল, চড়, ঘুষি মারতে থাকেন। কিছুক্ষণ পরে শিবনাথ বাড়িতে ফিরে যায়।ছাত্রটির মা মঞ্জুদেবী বলেন, “বাড়ি ফেরার পর প্রথমে ও কাউকে কিছু বলেনি। পরে গা, হাত-পা মুছিয়ে দেওয়ার সময় যন্ত্রণায় ককিয়ে ওঠে। কী হয়েছে জানতে চাইলে বলে, পিঠে আর মাথায় খুব ব্যথা করছে। আমরা খুঁটিয়ে জিজ্ঞাসা করতে থাকলে পরে ও সমস্ত ঘটনা জানায়।” তাঁর অভিযোগ, ছেলের কাছে সব শুনে তিনি তখনই ফোনে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিন্তু শিক্ষক উল্টে ছেলেকে স্কুল থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যেতে বলেন। মারধরের কথা তিনি এক বারও তোলেননি। বুধবার রাতে ছাত্রটির জ্বরও চলে আসে। শিবনাথের কথায়, “স্যার বেঞ্চের নীচে আমার মাথা ঢুকিয়ে খুব মারছিলেন। কোনও কথাই শুনছিলেন না। আমাকে ও ভাবে মারতে দেখে বন্ধুরা অনেকে কান্নাকাটি করছিল।” এ দিন শিবনাথের বাড়ির লোকেরা স্কুলে গিয়ে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে দেখা করেন। যদিও তাঁর বক্তব্য, “ও দুষ্টুমি করছিল বলেই মেরেছি। রাগের বশে একটু বেশি মারধর করা হয়ে গিয়েছে।” মঞ্জুদেবীর প্রশ্ন, “ওইটুকু ছেলেকে এমন ভাবে মারার দরকার ছিল? কিছু হয়ে গেলে কী হত?” বাবা-মায়ের কাছে শিবনাথের আর্জি ছিল, “আমি ওই স্কুলে যাব না। স্যার আমাকে আরও মারবেন।” ছেলেকে ওই স্কুলে পাঠাবেন না বলে তার বাবা-মাও জানিয়ে দিয়েছেন।

রোগীর আত্মীয়দের মাদক খাইয়ে লুঠ
নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ

হাসপাতালে আক্রান্তরা।—নিজস্ব চিত্র।

হাত কয়েক দূরেই পুলিশ ক্যাম্প। তা সত্বেও বুধবার রাতে আরামবাগ হাসপাতালের মূল ফটকের সামনে অপেক্ষারত কয়েক জন রোগীর আত্মীয়কে মাদক খাইয়ে তাঁদের সর্বস্ব হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটল। বৃহস্পতিবার সকালে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকা পাঁচ জনকে ওই হাসপাতালেই ভর্তি করানো হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি এক লিটারের ঠান্ডা পানীয়ের বোতল উদ্ধার করেছে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সন্দেহ, ওই পানীয়ের সঙ্গেই মাদক খাওয়ানো হয়েছিল রোগীর আত্মীয়দের। হাসপাতালের সুপার শান্তনু নন্দী বলেন, “বিষয়টা থানায় জানানো হচ্ছে। অসুস্থদের চিকিত্‌সা চলছে। পুলিশ সহায়তা কেন্দ্রটিকে আরও সক্রিয় করার জন্য পুলিশ প্রশাসনের কাছে আবেদন করা হবে।” এসডিপিও (আরামবাগ) শিবপ্রসাদ পাত্র বলেন, “সুপারের লিখিত অভিযোগ পেলে হাসপাতালের সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে হাসপাতলে পুলিশি টহলদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” পুড়শুড়ার ঘরগোয়ালের বাসিন্দা সুকুমার মালিক জানান, বুধবার বিকেলে এক যুবক তার স্ত্রীকে প্রসবের জন্য ভর্তি করিয়েছে জানিয়ে তাঁদের সঙ্গে আলাপ জমায়। চা-সিগারেট খাওয়ায়। রাতে আনে ঠান্ডা পানীয়। সকলকে খাওয়ালেও যুবক নিজে তা খায়নি। ওই পানীয় খাওয়ার পরে তাঁদের আর কিছু মনে নেই।

ভুয়ো পরিচয় দিয়ে জরিমানা আদায়, ধৃত
নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ

মোটরবাইকে বিদ্যুত্‌ বণ্টন সংস্থার লোগো। সঙ্গে কিছু মিটার-রিডিং কার্ড। এই দু’টি সম্বল করে নিজেকে বণ্টন সংস্থার কর্মী দাবি করে গ্রামে গ্রামে বিদ্যুত্‌ চুরি ধরে অবৈধ ভাবে জরিমানা আদায়ের অভিযোগে এক কলেজ-ছাত্রকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বুধবার বিকেলে আরামবাগের সালেপুর গ্রাম থেকে প্রথম বর্ষের ওই কলেজ-ছাত্রকে হাতেনাতে ধরা হয়। পুলিশ জানায়, ধৃতের বাড়ি গোঘাটের মান্দারনে। তার এক সঙ্গী, পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনার বাসিন্দা পলাতক। ধৃতকে বৃহস্পতিবার আরামবাগ আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক তাকে পাঁচ দিন পুলিশ হেফভাজতে রাখার নির্দেশ দেন। পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃত জানিয়েছে, তাকে ওই ভাবে ধনী হওয়ার লোভ দেখানো হয়েছিল। পুলিশ জানায়, বিদ্যুত্‌ বণ্টন সংস্থার কর্মীর ভুয়ো পরিচয় দিয়ে জরিমানার নামে টাকা আদায় করার এই চক্রে আরও কারা রয়েছে তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, সাধারণত কম শিক্ষিত পরিবারগুলিকে বেছে নেয় ওই চক্রটি। বিভিন্ন ভাবে খবর নেয় কে কোথায় বিদ্যুত্‌ চুরি করছে। সেই সব বাড়িতে গিয়ে ভুয়ো পরিচয় দিয়ে ৫ হাজার থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত জরিমানার জন্য হুমকি দিত ওই যুবকেরা। পাখা-তার-আলো খুলে নেওয়ার প্রক্রিয়া চালাত। সালেপুরে এমনই কিছু বাড়িতে তারা জরিমানা করতে গেলে কিছু মানুষের সন্দেহ হয়।ওই কলেজ-ছাত্রকে আটকে রেখে তাঁরা পুলিশে খবর দেন।

সেই বিডিও-র ঘরের সামনে পুলিশ প্রহরা
নিজস্ব সংবাদদাতা • জগত্‌বল্লভপুর

টেন্ডার বাতিল করাকে কেন্দ্র করে বিবাদের জেরে গত মঙ্গলবার জগত্‌বল্লভপুরের বিডিওকে নিগ্রহের চেষ্টা এবং হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে। তার জেরে বৃহস্পতিবার বিডিও-র ঘরের সামনে পুলিশ প্রহরা বসল। পুলিশ জানায়, বিডিও-র ওই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। বিডিও তাপস মোহান্তি এ দিনও কোনও মন্তব্য করতে চাননি। জগবল্লভপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূলের মহম্মদ ইব্রাহিম বলেন, ‘‘বিডিও-র সঙ্গে আমার আর কোনও ঝামেলা নেই। সব মিটে গিয়েছে।” বুধবার পুলিশের কাছে নিরাপত্তা চেয়েছিলেন বিডিও। বৃহস্পতিবার ব্লক অফিসে গিয়ে দেখা গেল, বিডিও-র ঘরের সামনে এক পুলিশকর্মী মোতায়েন রয়েছেন। যাঁরা বিডিও-র সঙ্গে দেখা করতে আসছেন, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তবেই ওই পুলিশকর্মী ভিতরে যেতে দিচ্ছেন। বিডিও-র আবেদনমতোই ওই পুলিশকর্মীকে মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান হাওড়া জেলা পুলিশের এক কর্তা। ৪৭টি অঙ্গনওয়াড়িকেন্দ্র এবং ৪২টি স্কুলবাড়ি তৈরির টেন্ডার বাতিল করার খবর পেয়ে মঙ্গলবার ইব্রাহিম বিডিও-র উপরে চড়াও হয়ে তাঁকে মারতে উদ্যত হন এবং গালিগালাজ করেন বলে অভিযোগ ওঠে। যদিও ইব্রাহিম দাবি করেন, বিডিও-র সঙ্গে তাঁর তর্কাতর্কি ছাড়া বেশি কিছু হয়নি। বিডিও ওই দিনের ঘটনার বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করলেও ব্লক প্রশাসন সূত্রের খবর, টেন্ডারে কিছু গরমিল দেখে টেন্ডার-কমিটিই তা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়।

জলে ডুবে মৃত্যু
নিজস্ব সংবাদদাতা • বাউড়িয়া

জলে ডুবে মৃত্যু হল এক বালকের। বৃহস্পতিবার দুপুরে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বাউড়িয়ার চকমধু গ্রামে। মৃতের নাম সাহিল মল্লিক (৭)। পুলিশ জানায়, বাড়ির কাছে একটি পুকুরে সাহিল তার দাদা বছর নয়েকের সফরুদ্দিনের সঙ্গে স্নান করতে নামে। সাহিলকে তলিয়ে যেতে দেখে সফরুদ্দিন বাঁচানোর চেষ্টা করে। কিন্তু সে-ও তলিয়ে যাচ্ছিল। গ্রামবাসীরা দু’জনকেই উদ্ধার করে উলুবেড়িয়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে সাহিলকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

নিখোঁজের দেহ উদ্ধার নদীর চরে

দু’দিন নিখোঁজ থাকার পরে রায়মঙ্গল নদীর চর থেকে এক যুবকের দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কের জেরে রতন মণ্ডল নামে (২৬) ওই যুবককে মেরে নদীর জলে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনাটি ঘটেছে হিঙ্গলগঞ্জের দক্ষিণ দুলদুলি গ্রামে। এ দিন ভোরে সন্দেশখালির হাটগাছা গ্রামে নদীর চরে এক যুবকের দেহ পড়ে থাকতে দেখে গ্রামবাসীরা সন্দেশখালি থানায় খবর দেয়। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে।

গঙ্গার ভাঙন আটকাতে নেই কোনও প্রশাসনিক উদ্যোগ। যে ভাবে পাড় ভেঙে চলেছে তাতে আতঙ্কে রয়েছেন
হাওড়ার উলুবেড়িয়ার কাঁজিয়খালি, গৌরীপুর, হিরাপুর, কালিনগর প্রভৃতি গ্রামের মানুষ।
বৃহস্পতিবার ছবি তুলেছেন সুব্রত জানা।

রোদে শুকোনো হচ্ছে মেশিনে তৈরি ঈদের সিমাই। আরামবাগে ছবিটি তুলেছেন মোহন দাস।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

southbengal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE