রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রে ফুরফুরা শরিফকে তুলে ধরতে কয়েক মাস আগে সেখানে উন্নয়ন পর্ষদ তৈরির কথা ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। ফুরফুরার পাশাপাশি আরও তিনটি পঞ্চায়েতকে পর্ষদের আওতায় আনা হয়েছে। কিন্তু সেই সিদ্ধান্তে আপত্তি জানিয়ে শনিবার ওই পর্ষদের উন্নয়ন সংক্রান্ত জেলার প্রশাসনিক বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন ফুরফুরার ধর্মীয় নেতাদের একাংশ। তাঁদের ছাড়াই অবশ্য বৈঠক শেষ হয়।
জেলাশাসক সঞ্জয় বনশল বলেন, ‘‘‘বৈঠক সদর্থক হয়েছে। উন্নয়নের বিভিন্ন প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যাঁরা বৈঠক থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন, তাঁরাই বেরিয়ে যাওয়ার কারণ বলতে পারবেন।’’
এ দিন জাঙ্গিপাড়া ব্লক অফিসে ওই বৈঠকে ফুরফুরার ধর্মীয় নেতাদের মধ্যে প্রথমে হাজির ছিলেন কাশেম সিদ্দিকি, ইব্রাহিম সিদ্দিকি প্রমুখ। তাঁরা বেরিয়ে যান বৈঠক ছেড়ে। কাশেম সিদ্দিকি বলেন, ‘‘ফুরফুরার জন্য যে টাকা বরাদ্দ হয়েছে বা হবে, তা দিয়ে অন্য পঞ্চায়েতে কাজ হবে কেন? রাজনীতি করতেই চমক দেওয়া হচ্ছে।’’
তবে, ওই বৈঠকে পরে যোগ দেওয়া আর এক ধর্মীয় নেতা পিরজাদা ত্বহা সিদ্দিকি ভিন্ন মত পোষণ করেন। তিনি বলেন, ‘‘কোনও জায়গার উন্নয়ন মানে তার আশপাশেরও উন্নয়ন। প্রশাসন সিদ্ধান্ত সঠিক। তবে ফুরফুরাকে বঞ্চিত করে শুধু অন্য জায়গার কাজ যাতে করা না হয়।’’
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পর্ষদের কাকজর্মের জন্য প্রাথমিক ভাবে ৫ কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে। ফুরফুরার সঙ্গে রাধানগর, জাঙ্গিপা়ড়া এবং শিয়াখালা— এই তিনটি লাগোয়া পঞ্চায়েতকেও পর্ষদের আওতায় আনা হয়েছে। এ দিন পর্ষদের উন্নয়নের কাজকর্ম নিয়ে ওই বৈঠকে জেলাশাসক ছাড়াও প্রশাসনের তরফে উপস্থিত ছিলেন মহকুমাশাসক (শ্রীরামপুর) মৃণালকান্তি হালদার, জেলা পরিষদের সভাধিপতি মেহবুব রহমান, জাঙ্গিপাড়ার বিধায়ক স্নেহাশিস চক্রবর্তী প্রমুখ। বৈঠকের শুরুতেই কাশেম সিদ্দিকি, ইব্রাহিম সিদ্দিকিরা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বৈঠকে অবশ্য চারটি পঞ্চায়েতের জল, আলো, বিদ্যুৎ-সহ নানা পরিকাঠামো নিয়ে আলোচনা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy