অন্য টেস্ট পেপার নয়। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের টেস্ট পেপারই ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী স্বয়ং। গত ১৩ ডিসেম্বর পর্ষদ থেকে জানানো হয়েছিল, সাত দিনের মধ্যে পড়ুয়াদের কাছে সেই টেস্ট পেপার পৌঁছে যাবে। কিন্তু ঘোষণার দু’সপ্তাহ পেরোতে চললেও কলকাতা লাগোয়া দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার স্কুলগুলিতে সোমবারেও পৌঁছল না মাধ্যমিকের টেস্ট পেপার। তবে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা স্কুল পরিদর্শকের (ডি আই) অফিস সূত্রে খবর, আজ মঙ্গলবার থেকে জেলার স্কুলগুলিতে টেস্ট পেপার দেওয়া শুরু হতে পারে। গত ১৩ ডিসেম্বর মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিসে টেস্ট পেপারের উদ্বোধন করে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে টেস্ট পেপার পৌছে দিচ্ছেন, সেখানে অন্য টেস্ট পেপারের কী দরকার?’’ পর্ষদ সূত্রে খবর, এ বছরে তারা ১৩ লক্ষের বেশি টেস্ট পেপার ছাপিয়েছে। কিন্তু সেগুলি সময়ে বিলি করা যায়নি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৫১টি সার্কেলে এক হাজারের বেশি স্কুল রয়েছে। নিয়মানুযায়ী, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিস থেকে ডি আই অফিসে টেস্ট পেপার এসে পৌঁছায়। তার পর সেগুলি স্কুলগুলিতে পাঠানো হয়। কিন্তু পর্ষদ অফিস থেকে টেস্ট পেপার দেরি করে আসায় সেগুলি এখনও স্কুলে পাঠানো যায়নি। রায়দিঘির একটি স্কুল শিক্ষক বলেন, ‘‘দক্ষিণ ২৪ পরগনায় এ রকম বহু প্রত্যন্ত গ্রাম রয়েছে যেখানকার পড়ুয়ারা বই-ই কিনতে পারে না। তাদের বিনামূল্য টেস্ট পেপার পাওয়া খুবই জরুরি। কিন্তু সেটি এখনও পাওয়া যায়নি। ফলে প্রস্তুতিতে ঘাটতি রয়েছে।’’ কলকাতার কলেজ স্ট্রিটে টেস্ট পেপার কিনতে এসে এক অভিভাবক বলেন, ‘‘পর্ষদের বই না পেয়ে অন্য টেস্ট পেপার কিনতে বাধ্য হলাম।’’
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভদ্রপাড়ার গিলারছাট উচ্চমাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষক প্রণব পাইকের ক্ষোভ, ‘‘আমাদের স্কুলে গত বছরও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের টেস্ট পেপারে যথেষ্ট চাহিদা ছিল। কিন্তু এ বছর গেল না।’’ যদিও সমস্যার কথা মানতে চায়নি মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সহ সাধারণ সম্পাদক স্বপন মন্ডল বলেন, ‘‘শুধু দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেই নয়, রাজ্যের বহু স্কুলে এখনও টেস্ট পেপার পৌঁছয়নি। এর পরে পৌঁছলে আর লাভ হবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy