দুষ্কর্ম: ভেঙেছে পাঁচিল। নিজস্ব চিত্র
মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যের স্নেহধন্য একটি মানুষের স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে এই আশ্রমের সঙ্গে। অথচ, সেই আশ্রমের লাগোয়া এলাকায় সন্ধ্যা হলেই মদের আসর বসছে বলে অভিযোগ কাটোয়া মাধাইতলা আশ্রমের মহন্তদের। আরও অভিযোগ, নষ্ট করা হচ্ছে আশ্রমের সম্পত্তিও।
চৈতন্য জীবনীকারদের মতে, মহাপ্রভুর শিষ্যদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন জগাই-মাধাই। মহন্তদের দাবি, সেই মাধাইয়ের সমাধি এখনও শায়িত রয়েছে এই আশ্রমে। আশ্রম সূত্রে জানা গিয়েছে, মাধাইতলায় তিন বিঘা জমির উপরে মন্দির ও আশ্রমটি তৈরি হয়েছে। আশ্রম লাগোয়া পাঁচ বিঘার মতো জায়গায় রয়েছে আশ্রমের আমবাগানটি।
ওই বাগানটিকে ঘিরেই সমস্যার সূত্রপাত বলে অভিযোগ মহন্তদের। মহন্তরা জানান, আমবাগানের চার দিকে রয়েছে তিন ফুটের সীমানা পাঁচিল। অভিযোগ, দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবে সেই পাঁচিলের বেশ কিছু অংশ ভেঙে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, একটি দরজাও দুষ্কৃতী ভেঙে ফেলেছে বলে অভিযোগ। এমনকী কয়েকটি জায়গায় আশ্রমের জানলার শিক নষ্ট করা হয়েছে। সম্প্রতি এমনই সব অভিযোগ জানিয়ে কাটোয়ার মহকুমাশাসকের দ্বারস্থ হয়েছেন মহন্তরা।
স্থানীয় এক বাসিন্দারাও অভিযোগ, ‘‘সন্ধ্যা নামলেই আশ্রমের বাগানে শুরু হচ্ছে অসামাজিক কাজকর্ম। বিভিন্ন এলাকার লোক জন এসে মদের আসর বসাচ্ছে।’’
এর জেরে আশ্রমের শান্ত পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ ১১ জন মহন্তের। অনেক সময় আশ্রমের প্রতি দিনের কাজ করতে গিয়েও সমস্যা হচ্ছে বলে জানান আশ্রমের মহন্ত দীনবন্ধু দাস, নরোত্তম দাসেরা। আশ্রমের মুখ্য মহান্ত নিত্যানন্দ দাসের ক্ষোভ, ‘‘আশ্রমের সম্পত্তি ও বাগানের গাছ চুরি হয়ে যাচ্ছে। প্রতিবাদ করতে গেলে কটূক্তি করা হচ্ছে।’’
মহন্তদের অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মহকুমাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy