এক ছাত্রীকে কটূক্তির অভিযোগকে কেন্দ্র করে দফায়-দফায় গোলমাল হল দুর্গাপুরের ধান্ডাবাগে। মারধর, পাল্টা মারধরে অশান্তি ছড়ায় ওই এলাকার ঋষি অরবিন্দ কলোনিতে। রবিবার সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত এই গণ্ডগোল চললেও পুলিশ পৌঁছতে দেরি করেছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
পুলিশ সূত্রে খবর, রাত পৌনে ৮টা নাগাদ দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে টিউশনে পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন তাঁর দাদা। ওই যুবকের অভিযোগ, খানিকটা যেতেই পাড়ার কয়েক জন যুবক বোনকে লক্ষ করে কটূক্তি করে। তখন কিছু না বলে তাঁরা চলে যান। বোনকে টিউশনে পৌঁছে ফেরার পথে তিনি ওই যুবকদের কাছে গিয়ে এমন ব্যবহারের প্রতিবাদ জানান। অভিযোগ, তখন তাঁকে মারধর করে ওই যুবকেরা। বাড়ি ফিরে তিনি ঘটনার কথা পরিবারের লোকজনকে জানান।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এর পরেই ওই যুবকের কাকা, যিনি এলাকার তৃণমূল নেতা হিসেবে পরিচিত, তিনি সাঙ্গোপাঙ্গ নিয়ে কটূক্তিতে অভিযুক্তদের উপরে চড়াও হন। ওই যুবকদের বাড়িতে গিয়েও মারধর করা হয়। বিষ্ণু মাহাতো নামে এক যুবকের বাবা-মা মারধরে জখম হন। এর কিছু ক্ষণ পরে আবার বিষ্ণু, অরুণ মাহাতো-সহ কয়েক জন ওই তৃণমূল নেতাদের বাড়িতে পাল্টা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। নেতার বাবা, দাদা-সহ ছ’জন আহত হয়ে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি।
বিষ্ণু-সহ ৮ জনের বিরুদ্ধে ওই ছাত্রীর পরিবারের তরফে কটূক্তি, মারধর এবং হামলার অভিযোগ করা হয়। তার ভিত্তিতে ছ’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু, পাল্টা মারধরের অভিযোগ পুলিশ নিতে চায়নি বলে দাবি করেছেন অরুণরা। পুলিশ যদিও তা মানতে চায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy