শান্তনু মুখোপাধ্যায়।
শোয়ার ঘরে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হল রাজ্য সরকারের এক পদস্থ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের। তিনি রাজ্য জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরে কর্মরত ছিলেন। রবিবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার চ্যাটার্জিহাট এলাকার অনন্তদেব মুখার্জি লেনে। মৃত ইঞ্জিনিয়ারের নাম শান্তনু মুখোপাধ্যায় (৫৩)। আগুনে পুড়ে গিয়েছে ঘরের সব আসবাবপত্র। দমকলের একটি ইঞ্জিন এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ ও দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে বাড়ির পরিচারিকা দোতলায় উঠে দেখেন ঘরের ভিতর থেকে গলগল করে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। সঙ্গে পোড়া গন্ধ।
তিনিই চিৎকার করে এলাকার লোকজনকে ডাকেন। খবর দেওয়া হয় দমকলে। কিছু ক্ষণের মধ্যেই দমকলের একটি ইঞ্জিন এসে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। সে সময়েই ঘর থেকে শান্তনুবাবুর অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ এসে দেহটি ময়না-তদন্তে পাঠায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শান্তনুবাবু দোতলায় একাই থাকতেন। একতলায় থাকেন তাঁর বৃদ্ধা মা বন্দনা মুখোপাধ্যায়, বাড়ির পরিচারিকা ও তাঁর মেয়ে। বন্দনাদেবী জানিয়েছেন, তাঁর ছেলে দীর্ঘ দিন মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। চিকিৎসাও চলছিল। পুলিশ জেনেছে, শান্তনুবাবুর দু’টি বিয়ে। প্রথম পক্ষের স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পরে তিনি ২০১২ সালে ফের বিয়ে করেন। কিন্তু বর্তমান স্ত্রী গত দু’বছর ধরে তাঁর সঙ্গে থাকেন না।
বন্দনাদেবী বলেন, ‘‘কাল রাতে কী হয়েছিল জানি না। আজ সকালে বাড়ির কাজের মেয়েটা উপরে গিয়ে আগুন দেখতে পেয়ে চিৎকার করে। তখনই পুরো ঘটনা জানতে পারি।’’
দমকলের তরফে শিবপুরের স্টেশন-অফিসার দিলীপকুমার রুদ্র বলেন, ‘‘আগুন লাগার কারণ এখনও পরিষ্কার নয়। তবে মৃতদেহটি আমরা সোফায় বসে থাকা অবস্থায় পেয়েছি।’’ পুলিশ সূত্রের খবর, ওই ইঞ্জিনিয়ারের মৃত্যু আত্মহত্যা না দুর্ঘটনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ফরেন্সিক পরীক্ষার পরেই পুরো ঘটনাটি জানা যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy