বকেয়া কাজ আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দু’দিনের জেলা সফরে গত সোমবার পশ্চিম মেদিনীপুরে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসন সূত্রে খবর, সোমবার খড়্গপুরে প্রশাসনিক বৈঠকে জেলা সফরে এসে মুখ্যমন্ত্রী বুঝিয়ে দিয়েছেন, কাজ ফেলে রাখা চলবে না। যে সমস্ত কাজ পড়ে রয়েছে তা আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে।
এ বার জেলায় এসে কাজকর্মের অগ্রগতি দেখে খুব একটা সন্তুষ্ট হননি মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর ধমক খেয়েছেন জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা। প্রশাসনিক বৈঠকে জেলাশাসকের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীকে এও বলতে শোনা গিয়েছে, “আপনি তো আগে ভাল কাজ করতেন। এই এক বছরে এমন হল কেন।”
অন্য এক প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, “গত বছর নির্বাচনের জন্য তিন মাস অনেক কাজ হয়নি। পরে পড়ে থাকা কাজগুলো তোলাও হয়নি। অথচ, এই সময়ের মধ্যে পড়ে থাকা কাজগুলো তোলা উচিত ছিল।”
অসন্তোষ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী এও বলেন, “কাজ ফেলে রাখা যাবে না। এমন চলতে থাকলে আমি কিন্তু প্রশাসনের খোলনলচে বদলে দেবো।” প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর ধমক খেয়েছেন জেলা সভাধিপতি উত্তরা সিংহও। কেমন? বৈঠকে কেশপুরের একটি সেতুর কথা মুখ্যমন্ত্রীকে জানান বিধায়ক শিউলি সাহা। শিউলিদেবীর বক্তব্য, সেতুটির কাজ শুরু করা খুব জরুরি। কেন কাজ হয়নি তা জেলা সভাধিপতি উত্তরাদেবীর কাছে জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী। সভাধিপতি জানান, তিনি প্রস্তাব পাঠিয়ে দিয়েছেন। ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রীকে তখন বলতে শোনা যায়, “প্রস্তাব পাঠিয়ে দেওয়া আর কাজ তুলে আনা এক জিনিস নয়। শুধু পাঠিয়ে দিয়েই দায় সারলে হবে না। কাজটা করতে হবে।”
আরও পড়ুন...
ঝাড়গ্রামের চোখে নয়া শিক্ষার স্বপ্ন
প্রশাসনিক বৈঠকে শুধু জেলার কর্তারা নন, রাজ্য প্রশাসনের অনেক শীর্ষ কর্তাই মুখ্যমন্ত্রীর ধমক খেয়েছেন। কেন সবুজশ্রীর টার্গেট পূরণ হয়নি তা জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী। জেলাশাসক জানান, এই প্রকল্পে জেলায় খুব ভাল কাজ হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী পাল্টা জানান, তাঁর কাছে সব খবর রয়েছে। এই প্রকল্পে টার্গেট পূরণ হতে এখনও বাকি রয়েছে। ব্লকওয়াড়ি খোঁজখবরও নেন মুখ্যমন্ত্রী।
যেমন কেশিয়াড়ির বিডিও-র কাছে জানতে চান, সরকারি যে পরিষেবাগুলো রয়েছে সেগুলো সারা বছর ধরে মানুষের কাছে ঠিকঠাক পৌঁছনো হয় কি না। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “আমি জেলায় এলেই এই পরিষেবাগুলো দেওয়া হয়, না সারা বছরই দেওয়া হয়।” বিডিও অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীকে জানান, সারা বছরই দেওয়া হয়।
ভূমি দফতরের কাজ নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। জানিয়ে দেন, বেআইনি বালি খাদান, পাথর খাদান বন্ধ করতে হবে। বিএলআরও-দের ব্যাপারে খোঁজখবর শুরু করেছেন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে বলেন, “কোনও অন্যায় বরদাস্ত করব না। মানুষকে সমস্যায় ফেললে প্রয়োজনে দুর্নীতি দমন শাখাকে দিয়ে তদন্ত করাবো।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy