Advertisement
০৪ মে ২০২৪
ফেসবুকের মন্তব্যে তোলপাড় তৃণমূল

তৃণমূল কাউন্সিলর তোলা নেন, সরব যুবনেতা

তৃণমূল কাউন্সিলরকে ফেসবুকে ‘তোলাবাজ’ বলে গালমন্দ করলেন দলেরই এক নেতা। এই ঘটনায় শোরগোল পড়েছে মেদিনীপুরে। অস্বস্তিতে পড়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল।

সৌরভ বসু ও অনিলচন্দ্র দলবেরা ।

সৌরভ বসু ও অনিলচন্দ্র দলবেরা ।

বরুণ দে
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০১৭ ০২:২৩
Share: Save:

তৃণমূল কাউন্সিলরকে ফেসবুকে ‘তোলাবাজ’ বলে গালমন্দ করলেন দলেরই এক নেতা। এই ঘটনায় শোরগোল পড়েছে মেদিনীপুরে। অস্বস্তিতে পড়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল।

মেদিনীপুর পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের কোন্দল নতুন নয়। এর আগেও বিভিন্ন ঘটনায় কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে। এখানে এক দিকে রয়েছেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর অনিলচন্দ্র দলবেরা ও তাঁর অনুগামীরা, অন্য দিকে যুব নেতা সৌরভ বসু ও তাঁর দলবল। আগে সৌরভই ওয়ার্ড কমিটির সম্পাদক ছিলেন। পরে কাউন্সিলরের সঙ্গে বিরোধের জেরে তিনি পদত্যাগ করেন। সম্পাদক হন কাউন্সিলরের অনুগামী বলে পরিচিত মুরলিমোহন মান্না।

আরও পড়ুন: জিমখানার জমি দখল, কেশরীকে বিঁধল রাজ্য

দু’দিন আগে সৌরভই ফেসবুকে একটি পোস্টে চাঁছাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেন কাউন্সিলর অনিলবাবুকে। ফেসবুকে সৌরভ লিখেছেন, ‘ওয়ার্ড কমিশনার অনিলচন্দ্র দলবেরার প্রত্যক্ষ মদতে তারই ওয়ার্ড কমিটির সম্পাদক মুরলিমোহন মান্না ও তার কয়েকজন সহযোগী দীর্ঘদিন ধরে ওয়ার্ডে তোলা আদায়-সহ বিভিন্ন রকম অপকীর্তি করে চলেছেন। এই সব মানুষগুলো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সততা, ত্যাগ, আদর্শকে জলাঞ্জলি দিয়ে করেকম্মে খেতে ব্যস্ত। অবিলম্বে এই ধরনের লোকেদের বিরুদ্ধে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে। না হলে এই সব উইপোকার দল দলটাকে নষ্ট করে দেবে।’ সৌরভের আরও দাবি, ‘পুলিশ মুরলিবাবু-সহ তার দুই সাগরেদকে থানায় আটক করে নিয়ে যায়। প্রায় ৯ ঘন্টা পরে কমিশনার থানায় গিয়ে ক্ষমাপ্রার্থনা করে তাদের ছাড়িয়ে আনে।’ তারপর তাঁর মন্তব্য, ‘আর নেই দরকার, তোলাবাজ কমিশনার।’ শুক্রবার সন্ধে পর্যন্ত এই পোস্টে ৮১ট ‘লাইক’ পড়েছে, ১৫জন তা ‘শেয়ার’ও করেছে।

প্রকাশ্যে: এই পোস্ট ঘিরেই বেধেছে বিতর্ক। ফেসবুকের সৌজন্যে।

এই পোস্ট ঘিরেই শোরগোল পড়েছে শহরে। দলের এক সূত্রের দাবি, ওই নেতাকে সতর্ক করা হয়েছে। বছর ঘুরলে মেদিনীপুরে পুরসভা নির্বাচন। তার আগে কোন্দলে রাশ টানতে মরিয়া নেতৃত্ব। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, “মেদিনীপুরের ওই ঘটনা শুনেছি। ফেসবুকে এ সব কথা বলা ঠিক নয়। দল এ সব বরদাস্ত করবে না। কারও অসন্তোষ থাকতেই পারে। তা দলের মধ্যে জানানো যায়।’’ অজিতবাবুর আরও সংযোজন, “দলের নীতি ও শৃঙ্খলাভঙ্গের প্রবণতাকে প্রতিহত করতেই হবে। আগামী দিনে এ বিষয়ে আরও বেশি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

সব অভিযোগ উড়িয়ে কাউন্সিলর অনিলচন্দ্রবাবুর দাবি, তাঁর নামে কুত্সা-অপপ্রচার হয়েছে। দল উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে বলেও তাঁর আশা। সৌরভের অবশ্য কোনও অনুশোচনা নেই। তিনি বলেন, ‘‘দলের সবস্তরে অভিযোগ জানিয়েছিলাম। কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে দল ব্যবস্থা নেয়নি। তাই ফেসবুকে ওই পোস্ট করেছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Extortion Facebook Social Media
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE