আচমকাই বন্ধ হয়ে গিয়েছে সমস্তরকম পরিষেবা। ফলে ভোগান্তির শেষ নেই মোবাইল সংস্থা এয়ারসেল-এর গ্রাহকদের।
হলদিয়া সহ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বহু গ্রাহক এর ফলে সমস্যায় পড়েছে। তাঁদের অভিযোগ, রান্নার গ্যাস বুকিং থেকে, ছেলেমেয়েদের স্কুল, ব্যাঙ্ক, ওযুধের হোম ডেলিভারি প্রভৃতি জরুরি পরিষেবায় এই মোবাইল সংস্থার নম্বর দেওয়া রয়েছে। কিছু না জানিয়ে আচমকা এ ভাবে পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাঁরা দুর্ভোগে পড়েছেন।
হলদিয়ার ব্রজলালচকের বাসিন্দা বিভা দাস বলেন, ‘‘মেয়ের স্কুলে মোবাইল নম্বর দেওয়া রয়েছে। আচমকা এয়ারসেল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়ে গিয়েছি। গ্যাসেও অন লাইন বুকিং করার জন্য এই নম্বর দেওয়া রয়েছে। ফোন বন্ধ হয়ে য়াওয়ায় সেখানেও যোগাযোগ করতে পারছি না।’’ পাঁশকুড়ার ডালপাড়ার বাসিন্দা বিবেকানন্দ দাসের কথায়, ‘‘কিছু না জানিয়ে হঠাৎ এয়ারসেল সংস্থা পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ায় সমস্যায় পড়ে গিয়েছি। ব্যাঙ্ক-সহ বিভিন্ন জায়গায় ফোনের নম্বর দেওয়া আছে। কাজকর্ম সব আটকে য়াওয়ার জোগাড়।’’ সুতাহাটার হলদিয়া মোবাইল সংস্থার অন্যতম কর্মী বুলবুল হোসেন জানান, তাঁদের দোকানে প্রতিদিন কয়েকশো গ্রাহক আসছেন মোবাইল নম্বর অকেজো হয়ে যাওয়ার অভিযোগ নিয়ে। তা ছাড়া ওই নম্বর নিয়ে অন্য মোবাইল সংস্থায় যাওয়া যাচ্ছে না।
হলদিয়ার একটি গ্যাস সংস্থার আধিকারিক জানান, ঘটনার জেরে ফোনের নম্বর বদলের দরখাস্ত নিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। হলদিয়া শহরের একটি মোবাইল সংস্থার মালিক দিনেশ দাস জানান, খবরের কাগজে পড়েছিলাম ওই সংস্থা (এয়ারসেল) নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করেছে। তারপরেই দেখি এই অবস্থা। এগরার বালিঘাইয়ের বাসিন্দা সুদীপকুমার মহাপাত্র হলদিয়ায় চাকরি করেন। তিনি বলেন, ‘‘আমার মায়ের ফোনে অনেক টাকার রিচার্জ করা ছিল। হঠাৎ পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ক্ষতি তো হলই, সমস্যাও হচ্ছে। মায়ের নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও রান্নার গ্যাসের দোকানে ওই নম্বর দেওয়া রয়েছে।’’
হলদিয়ার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এক আধিকারিক জানান, ব্যাংকে হঠাৎই ফোনের নম্বর বদলের জন্য গ্রাহকদের ভিড় বেড়ে গিয়েছে। কর্মীসংখ্যা কম থাকায় কী ভাবে এ সব সামলানো যাবে বুঝতে পারছিনা। এ দিন দুর্গাচকে এয়ারসেল মোবাইল সংস্থার অফিসে গিয়ে দেখা যায় সেটি বন্ধ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy