একাগ্র: সোমবার মাধ্যমিকের প্রথম দিনে তমলুকের একটি পরীক্ষাকেন্দ্রে। ছবি: পার্থপ্রতিম দাস
পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকার আগে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের হাতে জলের বোতল, গোলাপ ফুল, কলম তুলে দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো কয়েক বছর ধরেই পরিচিত ছবি। সৌজন্যের সেই তালিকা পরে যোগ হয়েছিল বাসস্ট্যান্ড থেকে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিনা ভাড়ায় অটো বা টোটোর ব্যবস্থা।
শুধু পরীক্ষার্থীরাই নয়, তাদের অভিভাবকদের জন্যও ছাউনি দেওয়া অস্থায়ী বিশ্রাম শিবিরের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তবে এ বছর নবতম সংযোজন বিশ্রাম শিবিরে অভিভাবকদের জন্য কফির ব্যবস্থা। আর এ সবরেই আয়োজন শাসক দলের তরফে। সোমবার মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথম দিনে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রায় প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রে যাওয়ার মুখে রাস্তায়, পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনে শাসক দলের কর্মীদের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। কোথাও পুরসভা, কোথাও পঞ্চায়েতের তরফে পরীক্ষার্থী থেকে অভিভাবকদের বিভিন্ন পরিষেবা দিতে ব্যস্ত থাকতে দেখা গিয়েছে শাসক দলের নেতা-কর্মীদের। পাঁশকুড়া-১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি দীপ্তিকুমার জানা বলেন, ‘‘মাধ্যমিক দিতে আসা ছাত্রছাত্রীদের শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি অভিভাবকদের সুবিধার কথা ভেবেই এই আয়োজন।’’
রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, শাসক দলের এমন পদক্ষেপ পঞ্চায়েত ভোটের কথা ভেবেই। সিপিএম থেকে বিজেপি সব দলেরই দাবি, রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। তাই প্রচারের হাতিয়ার হিসাবে মাধ্যমিক, উচ্চ-মাধ্যমিককে ব্যবহার করতেও পিছপা হচ্ছে না শাসক দল।
সিপিএমের জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহির অভিযোগ, ‘‘মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানানোর অজুহাতে রাজনীতি করছে শাসক দল।’’ অভিযোগ অস্বীকার করে দীপ্তিকুমারবাবু বলেন, ‘‘আসলে ওঁরা সবকিছুর মধ্যেই রাজনীতি দেখতে পান। পরীক্ষার্থীদের যাতে সুবিধা হয়। গরমে অনেক দূর থেকে আসা অভিভাবকেরা যাতে বিশ্রাম নিতে পারেন, সে জন্যই আমাদের এই উদ্যোগ। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy