Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
আপনার আদালত

দুয়ারে কড়া নাড়ে পদ্মা, ভাঙনের শঙ্কায় কলোনি

সাগরপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানবাজারে একটা ছোট্ট শৌচাগার আছে। সেটা বড় করার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু কেউ জমি দিতে রাজি নন। তাই নতুন শৌচাগার হবে। পরিকল্পনা হয়ে গিয়েছে।

বেহাল: বর্ষায় এমনই হাল রাস্তার। নিজস্ব চিত্র

বেহাল: বর্ষায় এমনই হাল রাস্তার। নিজস্ব চিত্র

রেকসনা বিবি
শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০১৭ ১৪:০০
Share: Save:

জলঙ্গির একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় সাগরপাড়া। শুধু বড় বাজার নয়, কলকাতা, বহরমপুর, কৃষ্ণনগরগামী বাস রাতেও থাকে। কিন্ত শৌচাগার নেই। মহিলাদের বিপাকে পড়তে হয়।

হাসিবুল সরকার, সাগরপাড়া

প্রধান: বাজারে একটা ছোট্ট শৌচাগার আছে। সেটা বড় করার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু কেউ জমি দিতে রাজি নন। তাই নতুন শৌচাগার হবে। পরিকল্পনা হয়ে গিয়েছে।

পদ্মার ভাঙনে সবহারাদের জন্য উদয়নগর কলোনি তৈরি হয়। কিন্তু ফের পদ্মা কলোনির দুয়ারে। এখনই ব্যবস্থা না নিলে ভিটে ছাড়া হতে হবে।

স্বপনকুমার সরকার, উদয়নগর কলোনি

প্রধান: ভাঙন রোধের মতো বিষয় গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষে দেখা সম্ভব নয়। তবে ভাঙন নিয়ে একাধিকবার জেলায় মিটিংয়ে বলেছি। হবে হচ্ছে বলেই কাটিয়ে দেন সকলে।

আর্সেনিক যুক্ত জল খেয়ে অনেকে মারা গিয়েছেন। অসুস্থ প্রায় পরিবারের কেউ না কেউ। গ্রামে একটি সজলধারা প্রকল্পে জলের কল থাকলেও আড়াই বছর ধরে পুরোপুরি বন্ধ। অনেক বলেও লাভ হয়নি।

সায়ে‌ন মোল্লা, বারমাসিয়া

প্রধান: ওই এলাকা এতটাই আর্সেনিকপ্রবণ যে একটা সজলধারাতেও কোনও কাজ হবে না। তবে যেটা ছিল সেটা কেন বন্ধ হয়ে কেন পড়ে আছে বুঝতে পারছি না। খোঁজ নিয়ে দেখব।

চকমথুরা থেকে গোদাগাড়ি গলাদড়িয়া হয়ে নওদাপাড়া প্রায় চার কিলোমিটার রাস্তা এখনও কাঁচা। বর্ষাকালে ওই রাস্তায় চলাচল কঠিন হয়ে পড়ে।

আশুতোষ মণ্ডল, চকমথুরা

প্রধান: ওই রাস্তা নিয়ে অনেক অভিযোগ পেয়েছি। ইতিমধ্যেই ওই রাস্তা তৈরির জন্য প্রস্ততি নিয়েছে জেলা পরিষদ। দ্রুত কাজ শুরু হবে।

বাজার বাড়লেও তৈরি হয়নি নিকাশিনালা। ফলে এক পশলা বৃষ্টি হলেই বাজারে জমছে জল। এই সমস্যার সমাধান না হলে আগামীতে ব্যবসায়ীরা বড় সমস্যায় পড়বেন।

অনুপ মণ্ডল, নরসিংহপুর

বাজারে নালা তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছি। তবে নালা তৈরির জমি নিয়ে সমস্যা আছে। বাজার কমিটিকে ওই সমস্যার সমাধানের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

বাজারে পানীয় জলের বড় সঙ্কট। তিনটি টিউবয়েল বসবে কথা হয়েছিল। কিন্তু দফায় দফায় মিটিং করেও আশ্বাস ছাড়া কিছুই মেলেনি।

জয়হরি মণ্ডল, নরসিংহপুর

প্রধান: আর্সেনিকপ্রবণ এলাকা হওয়ায় টিউবয়েল বসানোর খরচ অনেক বেশি। কয়েকটি টিউবয়েল বসিয়েছি। আগামীতে আরও বসবে।

এলাকায় মাছ সংরক্ষণের কোনও ব্যাবস্থা নেই। ফলে অনেক সময় জলের দরে মাছ বিক্রি করতে হয়। সংরক্ষণের ব্যবস্থা করলে ভাল হয়।

অখিল হালদার, সিংহপাড়া

প্রধান: এটা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়, তবে সরকারের কাছে আবেদন রাখব সংক্ষণের ব্যবস্থা করার জন্য।

নুন-তেল আনতে গেলেও নরসিংহপুর যেতে হয়। আর সেখানে যেতে প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তায় বার বার হোঁচট খেতে হয় এলাকার হাজারও মানুষকে। অনেক দরবার করে কোনও লাভ হয়নি।

নারিকুল মোল্লা, বারমাসিয়া

প্রধান: এটা আমাদেরও নজরে ছিল। ওই রাস্তার কাজ দ্রুত শুরু হবে।

প্রায় দু’যুগ আগে তৈরি হলেও কলোনির রাস্তার কোনও সংস্কার নেই। ফলে চলাচলের অবস্থা নেই ওই রাস্তায়। বর্ষাকালে কোথাও কোথাও হাটু জলও জমছে।

বাপ্পা মণ্ডল, উদয়নগর কলোনি

প্রধান: কলোনির রাস্তা নিয়েও পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। তাড়াতাড়ি কলোনির রাস্তার সংস্কার হবে।

গ্রামে পানীয় জলের ট্যাপ আছে, কিন্তু তাতে জল পাওয়া যায় না। বার বার দরবার করেও কোনও লাভ হয়নি।

অসীম মণ্ডল, দয়ারামপুর

প্রধান: এ নিয়ে এখনও কোনও অভিযোগ নেই। তবে অভিযোগ পেলে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরে সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেব।

সঞ্চালনা: সুজাউদ্দিন

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Rain আপনার আদালত
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE