প্রতীকী ছবি।
চায়ের আড়ালে বিক্রি হত মদ। পুলিশ হরিহরপাড়ার ওই ঠেক ভাঙতে গিয়ে বাধা পেল। মদ ব্যবসায়ীদের আক্রমণে আক্রান্ত হয়েছেন কয়েকজন পুলিশকর্মী। পরে বড় পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে। গ্রেফতার করা হয়েছে মদের দোকানের মালিক। ২ বস্তা দেশি মদ বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে হরিহরপাড়ার তরতিপুরের ওই ঘটনায় এলাকা এখনও থমথমে হয়ে রয়েছে।
তরতিপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় মিনাজ শেখের চায়ের দোকান রয়েছে। দোকানে ঢুকলে এক ঝলকে সেটাকে চায়ের দোকান ছাড়া আর কিছুই মনে হবে না। কিন্তু চা-বিড়ি-বিস্কুট বিকিকিনির আড়ালে সেখানে অবাধে বিকোয় দেশি মদ ও চোলাই। এ ভাবেই চলে আসছে বেশ কয়েক বছর। কখনও সখনও সেখানে বিদেশি মদও বিক্রি হত। এ দিন সন্ধ্যায় নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মিনাজের দোকানে ঢোকে। তখন সেখানে জনা পনেরো লোক বেঞ্চে বসে মদ খাচ্ছিল। পুলিশ ওই মদ্যপদের জিজ্ঞাসাবাদ করতেই রেগে ওঠে মিনাজ। সে পুলিশের দিকে তেড়ে যায়। মিনাজের উগ্রমূর্তি দেখে সাহস পেয়ে যায় মদ্যপেরা। পুলিশের সঙ্গে বচসা শুরু হয়ে যায়। এরই মধ্যে কয়েকজন পুলিশকে কুলি-ঘুঁষি মারে। এতে জখম হন ভিলেজ পুলিশ মিজানুর রহমান ওরফে মুকুল ও হোমগার্ড নূর ইসলাম। আবগারি দফতরের সদরের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক মহম্মদ আব্বাসি বলেন, ‘‘নিয়মে অনুযায়ী, একজন ব্যক্তি একবারে ৩৬ লিটার বিদেশি মদ ও ১২ লিটার দেশি মদ কিনতে পারেন। ফলে ক্রেতা সেজে ওই মদ কিনে এলাকায় বেচে। তাদের ধরতে আরও জোরাল তল্লাশি চলবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy