Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

বিল বকেয়া, বিদ্যুৎহীন স্কুল

গরমে বিদ্যুৎ সংযোগ না কাটার জন্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার কাছে আর্জি জানিয়েছিল কচিকাঁচা পড়ুয়ারা। কিন্তু কাজ হল না তাতে। বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়ায় বুধবার গরমে ঘামতে ঘামতেই পরীক্ষা দিতে হল পুরাতন মালদহ ব্লকের কাদিরপুর করুণাময়ী প্রাইমারি স্কুলের পড়ুয়াদের।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মালদহ শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০১৭ ০২:১৪
Share: Save:

গরমে বিদ্যুৎ সংযোগ না কাটার জন্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার কাছে আর্জি জানিয়েছিল কচিকাঁচা পড়ুয়ারা। কিন্তু কাজ হল না তাতে। বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়ায় বুধবার গরমে ঘামতে ঘামতেই পরীক্ষা দিতে হল পুরাতন মালদহ ব্লকের কাদিরপুর করুণাময়ী প্রাইমারি স্কুলের পড়ুয়াদের।

দশ হাজার টাকার বিদ্যুতের বিল বাকি রয়েছে। এই কারণে সোমবার স্কুলটির বিদ্যুতের সংযোগ কেটে দিয়েছে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার কর্মীরা। সপ্তাহ খানেক আগেই, বণ্টন সংস্থার কর্তা থেকে শুরু করে শিক্ষা দফতর ও প্রশাসনের কর্তাদের কাছেও সংযোগ না কাটার আর্জি জানিয়েছিল পড়ুয়ারা।

এদিকে স্কুলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হলেও ওই এলাকায় হুকিং করে অনেক সংযোগ রমরমিয়ে চলছে বলে অভিযোগ। খোদ স্কুলের সামনেই একটি জল প্রকল্প হুকিংয়ে চলছে বলেও অভিযোগ। স্কুলটিতে চারটি ঘরে আটটি ফ্যান চলে। প্রতি মাসে ৬০০-৭০০ টাকার বিদ্যুৎ বিল স্কুলে আসে। সেখানে হঠাৎ দশ হাজার টাকার বিল কী ভাবে এল তা নিয়েও ধন্দে স্কুল শিক্ষকরা।

স্কুলের বকেয়া ওই বিল কে মেটাবে তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। স্কুল বলছে, প্রায় সাত-আট বছর আগে সর্বশিক্ষা মিশনের তরফে স্কুলে বিদ্যুৎ সংযোগ করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিল কে মেটাবে তার কোনও নির্দেশিকা মিশন বা শিক্ষা দফতর কেউই দেয়নি। স্কুলের প্রধান শিক্ষক তনয় মিশ্র বলেন, ‘‘শিক্ষা দফতর থেকে স্কুল গ্রান্ট ও পরিচর্যার খাতে যে অর্থ পাওয়া যায় সেখান থেকেও বিদ্যুৎ বিল মেটানোর কোনও নির্দেশ নেই।’’ তিনি জানান, বিদ্যুতের যে বিল আসত, তা স্কুলের মোট ছ’জন শিক্ষক নিজেদের থেকেই তা দিয়ে দিতেন। কিন্তু এত বিশাল অঙ্কের বিল কী ভাবে মেটানো হবে তা নিয়ে চিন্তায় শিক্ষকেরা।

শিক্ষা দফতর থেকে শুরু করে প্রশাসন সকলকেই জানিয়েও সুরাহা মেলেনি বলে দাবি প্রধান শিক্ষকের। বণ্টন সংস্থার পুরাতন মালদহের স্টেশন ম্যানেজার সুব্রত দাস বলেন, ‘‘আমরা বিলটি কয়েকটি কিস্তিতে দিতে স্কুলকে প্রস্তাব দিয়েছিলাম। রাজি না হওয়ায় নিয়ম মেনে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে।’’ হুকিংয়ের বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযান চলছে বলেও তিনি দাবি করেন। প্রশাসনের তরফে পুরাতন মালদহের বিডিও নরোত্তম বিশ্বাস বলেন, ‘‘বিষয়টি শুনেছি। বণ্টন সংস্থার সঙ্গে কথা বলছি।’’ জেলাশাসকের কাছে রিপোর্ট পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (প্রাইমারি) গোরাল বিশ্বাস।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Electric bill Electricity School
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE