দুই নাবালক ছেলেকে স্বামী বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা করছেন—পুলিশের কাছে এই অভিযোগ করলেন মালদহের এক বধূ।
শুক্রবার মালদহের মানিকচকের বাসিন্দা এমাজান বিবি তাঁর স্বামী এমাজুদ্দিন খানের নামে এই অভিযোগ করেছেন জেলা পুলিশ ও চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির কাছে। তিনি স্বামী এমাজুদ্দিন খান সহ শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। নেশাজানের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন মালদহের চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির কর্তৃপক্ষেরা।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ১২ বছর আগে মানিকচক থানার নুরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের স্বজিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা পেশায় ভিন রাজ্যের শ্রমিক এমাজুদ্দিনের সঙ্গে বিয়ে হয় ভুতনির গুমানিটোলার বাসিন্দা গিয়াসউদ্দিন মিঞার মেয়ে এমাজন বিবির। তাঁদের ইমাম খান ও ক্যায়েম খান নামে দুই ছেলে রয়েছে। গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইমাম চতুর্থ শ্রেণিতে এবং ক্যায়েম প্রথম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে।
অভিযোগ, সম্প্রতি এই দম্পতির মধ্যে গোলমাল বেড়ে যায়। সেই সময়ই এমাজুদ্দিন তাঁর দুই ছেলেকে উত্তরপ্রদেশে বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা শুরু করে। ঘটনার আঁচ পেয়ে ছেলেদের নিয়ে বাবার বাড়ি পালিয়ে যান এমাজন বিবি। সেখানে গিয়েও তাঁকে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তাই গুমানিটোলা থেকে পালিয়ে দুই ছেলেকে নিয়ে সপ্তাহখানেক আগে মালদহগামী বাসে ওঠে পড়েন তিনি। সেই সময়ই বাসে পরিচয় হয় ইংরেজবাজার শহরের বাসিন্দা আমিনা হোসেন নামে এক মহিলার। ওই মহিলাই তাঁকে আশ্রয় দেন। এ দিন আমিনা হোসেনের সঙ্গে এমাজন বিবি দুই ছেলে ইমাম ও ক্যায়েমকে সঙ্গে নিয়ে প্রথমে চাইল্ড ওয়েল ফেয়ার কমিটির দ্বারস্থ হন। তারপরই জেলা পুলিশের কাছে স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান।
এমাজনবিবি বলেন, ‘‘আমি অসহায় হয়ে পড়েছি। ছেলেদের নিয়ে কী করব, কিছুই বুঝতে পারছি না। তাই বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে আসি। আমি চাই পুলিশ আমার ছেলেদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করুক।’’
আমিনা হোসেন বলেন, ‘‘পুলিশকে আমরা লিখিত ভাবে অভিযোগ করেছি যাতে অপরাধীদের গ্রেফতার করা হয়।’’ মালদহের সিডব্লিউসি-র চেয়ারম্যান চৈতালি সরকার বলেন, ‘‘আমাদের তরফ থেকে যত টুকু পারা সম্ভব, তা করার চেষ্টা করছি।’’
মালদহের ডিএসপি দিলীপ হাজরাও বলেন, ‘‘অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy