মর্গে মৃত বরযাত্রীর দেহ। জলপাইগুড়িতে। ছবি: সন্দীপ পাল।
বিয়েবাড়ি থেকে ফেরার পথে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল ৫ জনের। জখম ৫। বৃহস্পতিবার ভোরে জলপাইগুড়ির তোড়লপাড়ায় হলদিবাড়ি-জলপাইগুড়ি সড়কে বরযাত্রী বোঝাই ছোট গাড়ির সঙ্গে একটি ডাম্পারের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তিন মহিলার। মারা যায় এক কিশোর ও কিশোরীও।
পুলিশ জানায়, মৃতদের নাম, আতেশ্বরী রায় (৪২), সবিতা রায় (৪০), জয়া রায় (৪০), জয় রায় (১৪) ও দীপশিখা রায় (১২)৷ সবিতাদেবীর ছেলে জয়। ওই দু’জন ও জয়ার বাড়ি কোচবিহারের কুচলিবাড়িতে৷ আতেশ্বরীদেবী ও দীপশিখা ময়নাগুড়ির ভোটপট্টি ও হেলাপাকরির বাসিন্দা।
কুয়াশার জন্যই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ দাবি করলেও তা মানতে নারাজ স্থানীয়রা। জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি বলেন, ‘‘একে তো গাড়িতে অতিরিক্ত যাত্রী ছিল৷ তার ওপর ভোরের দিকে কুয়াশাও ছিল৷ তাতেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন ছোটগাড়ির চালক৷’’ যদিও তোড়লপাড়ার বাসিন্দারা দাবি করেন, প্রচণ্ড গতিতে ছুটছিল ছোট গাড়িটি৷ সে সময় রাস্তার বাঁ দিক দিয়ে আসছিল একটি ডাম্পার৷ তখনই গাড়িটি ডাম্পারে ধাক্কা মারে৷
বুধবার রাতে হেলাপাকরির বাসিন্দা রোহিণী রায়ের সঙ্গে বিয়ে হয় বেরুবাড়ি মোড়ের বাসিন্দা এক তরুণীর। রোহিণীবাবু পেশায় জামালদহ হাইস্কুলের শিক্ষক৷ বিয়ের অনুষ্ঠানের পরে বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে নবদম্পতিকে নিয়ে হেলাপাকরির দিকে রওনা হন তাঁরা। প্রথমেই ছিল নবদম্পতির গাড়ি। ভোর পাঁচটা নাগাদ তোড়লপাড়া নেতাজী বিদ্যাপীঠের সামনে হলদিবাড়ির দিকে যাওয়া পাথর বোঝাই একটি ডাম্পারের সঙ্গে বরযাত্রীবোঝাই একটি গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়৷
দুর্ঘটনা ঘটেছে বুঝতে পেরে পেছনে থাকা বরযাত্রীদের গাড়িগুলিও দাঁড়িয়ে যায়৷ আগে যে গাড়িগুলি ছিল খবর পেয়ে সেগুলিও ফিরে আসে৷ বরযাত্রীদের সঙ্গে নিয়েই স্থানীয়রা শাবল দিয়ে দরজা ভেঙে যাত্রীদের উদ্ধার করেন৷ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা পাঁচজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন৷ চালক সহ জখম বাকি চারজনকে পরে শিলিগুড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়৷
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy