ধৃত: থানায় জওয়ান। নিজস্ব চিত্র
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে এক কিশোরীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল সিআরপিএফ জওয়ানের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম কল্যাণ প্রকাশেল। ওই জওয়ান কাওয়াখালি এলাকায় সিআরপিএফ কেন্দ্রে কর্মরত। শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনার সুনীলকুমার চৌধুরী বলেন, ‘‘অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।’’
ষোলো বছরের নাতনিকে নিয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের চর্ম বিভাগে বুধবার চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন ধূপগুড়ির ভোটপাড়ার বাসিন্দা প্রৌঢ় দম্পতি। চিকিৎসককে দেখানোর জন্য লাইন দিয়েছিলে তাঁরা। সেখানে ভিড় থাকায় নাতনিকে করিডোরে দাঁড়াতে বলেন। কিশোরীর অভিযোগ, সে সময় যেচেই তার সঙ্গে পরিচয় করে উর্দিধারী ওই জওয়ান। তার গা ঘেঁসে দাঁড়িয়ে নাম কী, বাড়ি কোথায় সব জানতে চায়। সে সময় নাতনিকে নিজেদের কাছে ডেকে নেন ওই দম্পতি। অভিযোগ, দাদু ঠাকুরমার সঙ্গে হাসপাতালের ওষুধ কাউন্টারে গেলে সেখানেও ওই কিশোরীর পিছু নেয় অভিযুক্ত জওয়ান। এমনকী তাঁরা হাসপাতাল ক্যাম্পাসের ফলের দোকানে গেলে সেখানেও পিছু নেয়। এরপর গেটের কাছে ওষুধের দোকানে ওই প্রৌঢ় দম্পতি ওষুধ কিনতে গেলে সেখানে ওই জওয়ান কিশোরীর শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ। ঘটনাটি নজরে পড়ে দোকানির। তিনি ছুটে গিয়ে ওই জওয়ানকে ধরে ফেলেন।
পরে পুলিশ এসে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। কিশোরীর ও তার পরিবারের তরফে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনায় হইচই পরে যায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে। নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন রোগীর পরিজনরা। এর আগেও উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে যেচে পরিচয় করে রোগীর আত্মীয়দের কিছু খাইয়ে বেহুঁশ করে টাকা পয়সা নিয়ে চম্পট দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বাইকে করে এসে মহিলা চিকিৎসকের হাতের ব্যাগ টেনে পালানোর চেষ্টার অভিযোগও রয়েছে। হাসপাতাল সুপার মৈত্রেয়ী কর বলেন, ‘‘এ ধরনের ঘটনা কাম্য নয়। হাসপাতাল ক্যাম্পাসে বহির্বিভাগে সিসিক্যামেরা কিছু রয়েছে। গোটা চত্বর নিরাপত্তার জালে মুড়ে দিতে আরও ক্যামেরা বসানো হবে। নিরাপত্তারক্ষীদেরও সজাগ থাকতে বলা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy