গোর্খ্যাল্যান্ডের দাবিদার সঙ্গে বার বার সরকার আলোচনায় বসলেও, কেন গ্রেটার কোচবিহারে সঙ্গে নয় সে প্রশ্ন তুলে রাস্তায় নামার হুঁশিয়ারি দিলেন বংশীবদন বর্মন।
বুধবার কোচবিহার প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করে বংশীবাবু প্রশ্ন তোলেন, গোর্খাল্যান্ডের দাবিদাররা বাইরে থেকে এসেছেন বলে শোনা যায়। সেক্ষেত্রে তাঁদের ‘জিটিএ’ দেওয়া হল, সরকার তাঁদের ঘন ঘন আলোচনায় ডাকছেন কেন। তিনি বলেন, “আমরা কোচবিহারের ভারতভুক্তি চুক্তি রূপায়ণের দাবি তুলেছি। সেই দাবিকে কেউ গুরুত্ব দিচ্ছেন না। স্পষ্ট করে কেউ আমাদের পরিচয় জানাচ্ছেন না। কিভাবে কোচবিহার রাজ্য থেকে জেলা হল তা নিয়ে কারও মুখে কোনও শব্দ নেই। অথচ গোর্খাল্যান্ড নিয়ে ঘন ঘন আলোচনা হচ্ছে।” তিনি স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেন, কোচবিহারের বাসিন্দাদের সঙ্গে এমন অন্যায় মেনে নেওয়া হবে না।
দীর্ঘদিন পরে রাজ্যের দাবি নিয়ে আবার রাস্তায় নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বংশীবাবু। আগামী ২৮ অগষ্ট গোসানিমারি রাজপাট থেকে কোচবিহার সাগর দিঘি পাড়ে বীর চিলা রায়ের মূর্তির পাদদেশ পর্যন্ত পদযাত্রা করবেন তিনি। ওইদিন জেলাশাসককে একটি স্মারকলিপিও দেওয়া হবে। বংশীর ওই আন্দোলনের ডাক ঘিরে কোচবিহারে পুলিশ- প্রশাসন সতর্ক নজরদারি শুরু করেছে। বংশীবাবু জানিয়ে দিয়েছেন, আন্দোলনের নামে হিংসা তাঁরা পছন্দ করেন না। তিনি বলেন, “পাহাড়ে যে হিংসা চলছে তা কেউ সমর্থন করে না। আমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে শান্তিপূর্ণ ভাবে আন্দোলন করব।”
পাশাপাশি গ্রেটার নেতা বংশীবদন এ দিন তৃণমূল নেতৃত্বের সমালোচনায় সরব হয়েছেন। তিনি দাবি করেন, লোকসভা নির্বাচনের সময় একাধিক বিষয়কে সামনে রেখেই তৃণমূলকে সমর্থন করেছিলেন তিনি। সেখানে রাজবংশী উন্নয়ন পর্ষদের দাবিও ছিল। অথচ মুখ্যমন্ত্রী কোচবিহারে এসে পর্ষদের কথা ঘোষণা করলেও তাঁকে কিছুই জানানো হয়নি। তৃণমূল অবশ্য বংশীবাবুর আন্দোলনকে কোনও গুরুত্ব দিতে নারাজ। দলের কোচবিহার জেলা সভাপতি তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, “মানুষই সব কিছুর বিচার করবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy