ঐতিহ্য: জলপাইগুড়ির রাজবাড়ি হেরিটেজ ঘোষণা হয়েছে। কিন্তু কোন কোন অংশ তার আওতায় পড়বে তা এখনও স্থির হয়নি। ছবি: সন্দীপ পাল
জেলার সার্ধ শতবর্ষে শহরকে হেরিটেজ ঘোষণার প্রাণপণ চেষ্টা৷ আর সেই লক্ষ্যে দেরি না করে দ্রুত ঝাঁপাতে মরিয়া জলপাইগুড়ি পুরসভা৷ যে জন্য ইতিমধ্যেই বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি কমিটি গঠনেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পুর কর্তারা৷
২০০৭ সালে জলপাইগুড়ি রাজবাড়ি হেরিটেজ ঘোষণা হয়েছে৷ কিন্তু রাজবাড়ির কোন কোন অংশ হেরিটেজের আওতায় পড়বে, তা চিহ্নিত হয়নি আজও৷ এই অবস্থায় ডিসেম্বর মাসের শুরুতে জলপাইগুড়িতে আসেন রাজ্য হেরিটেজ কমিশনের প্রতিনিধিরা৷ বিষয়টি কার্যত লুফে নেন জলপাইগুজ়ি পুরসভার কর্তারা৷ হেরিটেজ কমিশনের প্রতিনিধিরা রাজবাড়ি ঘুরে দেখে জেলা প্রশাসন ও পুরসভার কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন৷ রাজবাড়ির পাশাপাশি জলপাইগুড়ির আরও অনেক স্থাপত্যই যে হেরিটেজের আওতায় আসতে পারে, সে ব্যাপারে সেখানে হেরিটেজ কমিশনের প্রতিনিধিদের প্রস্তাব দেন পুরসভার কর্তারা৷ যা মেনে নেন সেই প্রতিনিধিরাও৷ নবদ্বীপ ও কোচবিহারের মতো জলপাইগুড়ি শহরকে হেরিটেজ ঘোষণার পক্ষে সওয়াল করেন তাঁরা৷
হেরিটেজ ঘোষিত হলে এই ভবনগুলো রক্ষণাবেক্ষণে যেমন টাকা মিলবে, তেমনই মিলবে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ। স্বাভাবিকভাবেই পুর কর্তারা তাই চান৷ তা ছাড়া, রাজবাড়ির পাশাপাশি জলপাইগুড়ির শহরের নানা স্থাপত্যকে হেরিটেজ ঘোষণার জন্য প্রস্তাবও কয়েক বছর থেকে জমা পড়ে আছে৷ যার মধ্যে রয়েছে, রাজবাড়ি গেট, কোচবিহারের মহারাজাদের তৈরি আয়রন হাউজ, ইউরোপিয়ান ক্লাব, সেন্ট মাইকেল অ্যান্ড অ্যাঞ্জেল চার্চ সহ নানা স্থাপত্য৷ প্রস্তাব পাঠানো সত্ত্বেও সেগুলো আজ পর্যন্ত হেরিটেজের স্বীকৃতি পায়নি৷
এই সব ক’টি স্থাপত্য আলাদা করে হেরিটেজ ঘোষণা করার বদলে শহরকে হেরিটেজ ঘোষণা করে তার মধ্যে এই ভবনগুলোকে নিয়ে এলে সার্বিক ভাবেই সুবিধা হয়। যে জন্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পুরকর্তারা৷
জলপাইগুড়ি পুরপ্রধান মোহন বসু বলেন, ‘‘শহর দ্রুত হেরিটেজের স্বীকৃতি পাক৷ সে জন্য এখানে হেরিটেজ সম্পদ কী কী রয়েছে, বিশেষজ্ঞদের দিয়ে তার একটি নিখুঁত তালিকা তৈরি করা হবে৷’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy