স্ত্রীকে হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে খুন করার পর একমাত্র ছেলেকেও খুন করার চেষ্টা করলেন বাবা। মায়ের মৃত্যু হলেও শীতের লেপ গায়ে জড়িয়ে বাবার হাঁসুয়ার কোপ থেকে প্রাণে বেঁচে গেলেন ছেলে। তবে লেপ ভেদ করেই হাঁসুয়ার কোপে জখম হয়েছেন কলেজ পড়ুয়া ছেলে।
রতুয়ার চর এলাকা মহানন্দটোলা পঞ্চায়েতের জগবন্ধুটোলায় বৃহস্পতিবার ভোরে ওই ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনার পরেই এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে অভিযুক্ত। পুলিশ জানায়, নিহতের নাম রেণু মণ্ডল(৫০)। আহত উত্তম মণ্ডলকে রতুয়া হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
চাঁচলের এসডিপিও সজলকান্তি বিশ্বাস বলেন, ‘‘পারিবারিক অশান্তির জেরে ওই ঘটনা বলে মনে হচ্ছে। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত সাধুচরণ মণ্ডল পেশায় দিনমজুর। তাঁদের ছেলে উত্তম সামসি কলেজে বিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। এ দিন ভোরে রেণুদেবী শৌচাগারে যেতেই পিছন থেকে হাঁসুয়া নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে তাকে কোপান স্বামী সাধুচরণ। মাথায় হাঁসুয়ার কোপ লেগে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। মায়ের আর্ত চিত্কারে বিছানা ছেড়ে উঠতেই উত্তম দেখেন রক্তমাখা হাঁসুয়া হাতে সামনে দাঁড়িয়ে বাবা। তার দিকে হাঁসুয়া নিয়ে তেড়ে আসতেই নিমেষে বিছানা থেকে লেপ তুলে শরীরে জড়িয়ে নেন উত্তম। এলোপাথারি হাঁসুয়ার কোপ অবশ্য পুরোপুরি আটকাতে পারেননি তিনি। ওই অবস্থাতেই বাবাকে ধাক্কা মেরে বাইরে বেরিয়ে চিত্কার শুরু করেন। প্রতিবেশীরা ছুটে আসার আগেই পালিয়ে যায় বাবা।
প্রাথমিকভাবে পুলিশ জেনেছে, ফুলহারের ও পারে চর এলাকায় তেমন কাজকর্ম না জোটায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন সাধুচরণ। হরিশ্চন্দ্রপুরে থাকা তাঁদের একটি জমিতে বাড়ি করে চলে যাওয়ার কথা বললেও স্ত্রী ও ছেলে যেতে রাজি হননি। সেই আক্রোশেই এমন কাণ্ড, নাকি অন্য কিছু তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
ছেলে উত্তম অবশ্য বলেন, ‘‘বাবা কেন যে এমন করল কিছুই বুঝতে পারছি না। গ্রেফতার হলে তবেই তা জানা যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy