দাবি: সই করছে এক স্কুলছাত্রী। দিনহাটায়। নিজস্ব চিত্র
খনন শুরুর সঙ্গেই গোসানিমারি রাজপাট ও সংলগ্ন এলাকাকে ‘হেরিটেজ জোন’ ঘোষণার দাবিতে গণসাক্ষর অভিযান শুরু হল।
দিনহাটা হেরিটেজ সোসাইটির উদ্যোগে মঙ্গলবার বিশ্ব হেরিটেজ দিবস উদযাপন উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী ওই অভিযানের শুরু করা হয়েছে।, এ দিন সকালে দিনহাটার প্রধান সড়ক পাইওনিয়ার ক্লাব লাগোয়া এলাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে সই সংগ্রহ অভিযানের সূচনা শুরু হয়। উপস্থিত ছিলেন দিনহাটা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান শুভময় চক্রবর্তী, কোচবিহার হেরিটেজ সোসাইটির সম্পাদক অরুপজ্যোতি মজুমদার প্রমুখ। সোসাইটির টাঙানো ফ্লেক্সের পাশাপাশি কাগজেও আগ্রহী বাসিন্দারা দাবি জোরালো করতে সই করছেন। একইভাবে গোসানিমারির রাজপাট লাগোয়া এলাকাতেও একটি ফ্লেক্স ও শিবির করে সই সংগ্রহের কাজ শুরু করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এক সপ্তাহে অন্তত ৫ হাজার বাসিন্দার সই সংগ্রহ করা যাবে বলে আশা করছেন তারা। দিনহাটা হেরিটেজ সোসাইটির সম্পাদক শঙ্খনাদ আচার্য বলেন, “গোসানিমারিতে পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের তরফে দেড় দশক আগে খনন শুরু করেও মাঝপথে বন্ধ করে দেওয়া হয়। ওই এলাকায় প্রাচীন ঐতিহ্য ছড়িয়ে রয়েছে। রাষ্ট্রপতি ও রাজ্য হেরিটেজ কমিশনের কাছে স্বাক্ষরের প্রতিলিপি পাঠানো হবে।”
এ দিন পথচলতি বাসিন্দাদের অনেকে তো বটেই সাধারণ রিক্সা চালক পর্যন্ত দাবির পক্ষে সই করেছেন। ছাত্র-ছাত্রীদের ভিড়ও ছিল। সবমিলিয়ে উৎসাহ বেড়েছে সোসাইটি কর্তাদের। গবেষকরা জানান, গোসানিমারিতে পুরাতত্ত্ব বিভাগের খননের সময় পাওয়া বিভিন্ন সাড়ে পাঁচশো বছরের প্রাচীন সামগ্রী খেন রাজবংশের নিদর্শন বলে অনুমান করা হয়। চিৎশিল্পী রথীন্দ্রনাথ সাহা বলেন, “আমি নিজেও সই করেছি। ইতিহাসের স্বার্থেই এটা দরকার।” ফোসিনের সদস্য রাণা গোস্বামী বলেন, “ওই দাবি সমর্থন করি। গোসানিমারিকে কেন্দ্র করে পর্যটন প্রসারের সম্ভবনাও রয়েছে।”
অভিযোগ, খনন বন্ধের পর ওই ঐতিহ্য অবহেলায় ধুঁকছে। গড়ের মাটিও কেটে নেওয়া হচ্ছে। সংরক্ষিত এলাকায় গরু ছাগল চরছে। প্রাচীন টাঁকশালের চিহ্নও ধবংসের মুখে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy