ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রাথমিক স্কুলের মিড ডে মিল সবেতেই আধার কার্ড বাধ্যতামূলক করতে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর সরকারের এই মনোভাব আঁচ করেই আধার কার্ড করতে বাসিন্দাদের লাইন দীর্ঘ হচ্ছে। তার পরেই শিলিগুড়িতে ভোগান্তির শুরু বলে অভিযোগ।
আধার কার্ডের জন্য সরকার স্বীকৃত দু’টি পরিষেবা কেন্দ্রে শুক্রবার গিয়েছিলেন শিলিগুড়ির স্যাটেলাইট টাউনশিপের বাসিন্দা এক তরুণী। তিনি জানিয়েছেন, একটি কেন্দ্রে তাঁকে চার মাস পরে আসতে বলেছে। অন্য কেন্দ্রে কার্ড তৈরির ফর্মের জন্য দশ টাকা আদায় করে আগামী জুন মাসে আসতে বলা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ম অনুযায়ী আধার কার্ডের ফর্ম সংগ্রহের জন্য কোনও ফি নেওয়া যায় না। নিখরচায় হয় ছবি তোলা,আঙুলের ছাপ নেওয়া ও চোখের মণি স্ক্যান। একমাত্র নাম, জন্ম তারিখ ও ঠিকানা পরিবর্তনের জন্য ২৫ টাকা করে দিতে হয়। পিভিসি কার্ড পেতে হলে দিতে হয় ৩০ টাকা করে। অথচ সরকারি চত্বরে থাকা স্বীকৃত কেন্দ্রই বাসিন্দাদের কাছে আধার কার্ডের ফর্ম বিক্রি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। দার্জিলিঙের জেলাশাসক জয়সী দাস বলেন, ‘‘বিস্তারিত খোঁজ নিচ্ছি। পদক্ষেপ করা হবে।’’
মহকুমা পরিষদ অফিস এবং শিলিগুড়ি মহকুমা আদালত চত্বরে থাকা ‘সাধারণ পরিষেবা কেন্দ্র’ থেকে আধার কার্ড তৈরি হয়। এ দিন দুপুরে মহকুমা পরিষদের কেন্দ্রে গিয়েছিলেন স্যাটেলাইট টাউনশিপের বাসিন্দা ওই তরুণী।
ওই কেন্দ্রে নোটিশ লাগিয়ে জানানো হয়েছে অগস্ট মাসের আগে নতুন আধার কার্ড তৈরি হবে না। অগ্যতা শিলিগুড়ি আদালত চত্বরের কেন্দ্রে গিয়েছিলেন তিনি। অভিযোগ সেখানে তাঁর থেকে প্রথমেই কার্ড তৈরি করানোর জন্য দশ টাকা নেওয়া হয়। একটি ফর্ম ধরিয়ে আগামী ১ জুনের তারিখ লিখে দেওয়া হয়।
অভিযোগ সাধারণ পরিষেবা কেন্দ্রগুলি ই-টেন্ডার, জেরক্স সহ নানা লাভজনক পরিষেবা দেয়। সে কারণে নতুন কার্ড করানোর মতো অলাভজনক কাজে তারা উৎসাহী নয়। কিন্তু সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে কেন টাকা নেওয়া হচ্ছে সে প্রশ্নের উত্তরে আদালত চত্বরে থাকা কেন্দ্রের কেউ কোনও মন্তব্য করেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy