ডেঙ্গি রুখতে প্রতিটি ওয়ার্ডের জন্য আলাদা আলাদা দল গঠন করে ফেব্রুয়ারির শুরু থেকেই জলপাইগুড়ি শহরজুড়ে অভিযানে নামতে চলেছে পুরসভা৷ এই অভিযানে মূলত শহরের কোথাও জল জমে রয়েছে কি না সেটাই খতিয়ে দেখা হবে৷ বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতনও করা হবে৷
কারও মৃত্যু না হলেও গত বছর জলপাইগুড়ি জেলাতে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়েছিল ডেঙ্গি৷ মশাবাহিত এই রোগে সারা বছর ধরে জেলার বিভিন্ন প্রান্তের সাড়ে আটশরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হন৷ যার মধ্যে জলপাইগুড়ি শহরে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল প্রায় একশোজন৷ যদিও সরকারিভাবে জলপাইগুড়ি শহরে ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫৮৷
তবে আক্রান্তের সংখ্যা যাই থাকুকনা কেন, গরম পড়ার জন্য আর অপেক্ষা না করে এবছর শুরু থেকেই ডেঙ্গির বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইছে জলপাইগুড়ি পুরসভা৷ আর সেজন্য ফেব্রুয়ারি মাসের শুরু থেকে শহরজুড়ে অভিযানে নামান হবে পুরকর্মীদের৷
স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বে থাকা জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘শহরে থাকা বাসিন্দারা খুব বেশি এই রোগে আক্রান্ত হননি৷ কিন্তু তবুও এবছর আমরা আর ঝুকি নিতে চাই না৷ সেজন্যই শুরু থেকেই এই ব্যবস্থা৷ ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই শহরে আমাদের অভিযান শুরু হয়ে যাবে৷’’
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ডেঙ্গির বিরুদ্ধে এই অভিযান আসলে জমা জলের বিরুদ্ধয়ে অভিযান৷ সেই সঙ্গে সচেতনতার বিষয়টি তো এরমধ্যে থাকবেই৷ এ জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে আলাদা আলাদা করে চার থেকে ছয়জনের একটি দল গঠন করা হবে৷ সেই দল প্রতিটি বাড়ি, আবাসন, প্রতিষ্ঠান বা এলাকার নর্দমার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন৷
কোথাও জল জমে থাকলে ওই দলের সদস্যেরা পুরসভাকে খবর দেবেন৷ জমা জল বের হওয়ার উপায় না থাকলে সেখানে পোড়া কেরোসিন বা পোড়া মোবিল ঢেলে দেওয়া হবে৷ সেই সঙ্গে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হওয়া রুখতে কী কী করা উচিত সে ব্যাপারেও বাড়ির বাসিন্দাদের বোঝাবেন তাঁরা৷
পুরসভা সূত্রের খবর, এজন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে দায়িত্বে থাকা পুরকর্মীদের ২৭ জানুয়ারি প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে৷ তারপর তারা কাজ শুরু করেবেন৷ সৈকতবাবুর কথায়, ‘‘এ বছর জলপাইগুড়ি শহরকে ডেঙ্গি মুক্ত করতে আমরা বদ্ধপরিকর৷’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy