প্রতীকী ছবি।
মাত্র দশ মাস আগে মালদহ কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন উত্তমকুমার সরকার। আর দায়িত্ব নেওয়ার তিন মাসের মধ্যে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি। যদিও সেই সময় তৎকালীন জেলা শাসক তথা কলেজের পরিচালন কমিটির চেয়ারম্যান ইস্তফাপত্র গ্রহণ করেননি তাঁর। তবে এ বারে উত্তমবাবুর ইস্তফা পত্র গ্রহণ করলেন কলেজ পরিচালন কমিটির চেয়ারম্যান তথা জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য। বুধবার ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়েছে জেলার শিক্ষা মহলে।
বিগত কয়েক মাসে একাধিক বিতর্কে জড়িয়েছিলেন মালদহ কলেজের অধ্যক্ষ উত্তমবাবু। তারই জেরে ইস্তফা কিনা তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। যদিও ইস্তফার পেছনে ব্যক্তিগত কারণ রয়েছে বলে দাবি করেছেন উত্তমবাবু। তিনি বলেন, “আমার পারিবারিক কিছু সমস্যা রয়েছে। তাই ইস্তফা দিতে চেয়ে আবেদন করেছিলাম পরিচালন সমিতির চেয়ারম্যানের কাছে। শুনেছি আমার ইস্তফা গ্রহণ করা হয়েছে।” এখানে অন্য কোন বিষয় নেই বলে জানিয়েছেন তিনি। জেলাশাসক বলেন, “সপ্তাহখানেক আগে ইস্তফা পত্র পাঠিয়েছিলেন তিনি। কিছু দিনের জন্য তাঁকে কাজ চালিয়ে যেতে বলা হয়েছিল। এ দিন তাঁর ইস্তফাপত্র গ্রহণ করা হয়েছে।”
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে মালদহ কলেজের অধ্যক্ষ হন ওই কলেজের অধ্যাপক উত্তমকুমার সরকার। বাম আমলে তিনি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যানও ছিলেন। দায়িত্ব নেওয়ার তিন মাসের মধ্যে পরীক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন তিনি। পরিকাঠামো কম থাকা সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জোর করে বাড়তি পরীক্ষার্থী নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি। এই নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে, ১৭ এপ্রিল তিনি অধ্যক্ষের পদ থেকে ইস্তফা দিতে চেয়ে তৎকালীন জেলাশাসক তথা কলেজ পরিচালন সমিতির চেয়ারম্যান তন্ময় চক্রবতীর কাছে ইস্তফাপত্র পাঠান। যদিও সেই ইস্তফাপত্র গ্রহণ করা হননি। এর পরেই বারান্দার মেঝেতে, সাইকেল স্ট্যান্ডে পরীক্ষার্থীদের বসিয়ে পরীক্ষা নেওয়া ঘিরে বিতর্কে জড়ায় কলেজ কর্তৃপক্ষ। যা নিয়ে মালদহ সফরে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। এরপর সরিয়ে দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা সমূহের নিয়ামক সনাতন দাসকেও।
এখানেই শেষ নয়, মেধা তালিকায় পরে নাম থাকা সত্বেও নিজের মেয়েকে ভর্তি নেওয়ার ঘটনাতেও বিতর্কে জড়িয়েছিলেন উত্তমবাবু। সেই ঘটনাতেও শিক্ষা দফতরের সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন তিনি। কলেজের শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের একাংশের দাবি, চাপে পড়েই ইস্তফা দেন উত্তমবাবু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy