স্বাধীনতার পরে প্রস্তাব ছিল জলপাইগুড়ির ফার্মেসি কলেজকে মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে উন্নীত করা হবে। যদিও রাজনৈতিক টানাপড়েনে সেই দাবি পূরণ হয়নি। তা নিয়ে শহরের প্রবীণ-নবীনদের আক্ষেপ যথেষ্ট। মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্ববাংলা স্টেডিয়ামের সরকারি সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন ঘোষণা করলেন, জলপাইগুড়িতে একটি মেডিক্যাল কলেজ হচ্ছে, কয়েক মিনিট ধরে চলতে থাকা হাততালি যেন কয়েক দশকের আক্ষেপের অবসান ঘটাল।
শুধু মেডিক্যাল কলেজ নয়। চারটি উড়ালপুল, আনন্দচন্দ্র কলেজে বিজ্ঞান ব্লক, স্টেডিয়াম বানানোর জন্য অনুদান সহ নানা ঘোষণায় খুশি শহরবাসী। ময়নাগুড়ি, ওদলাবাড়ি, গজলডোবা এবং লাটাগুড়িতে উড়ালপুল তৈরি করছে রাজ্য সরকার। এই সব এলাকাতেই লেভেল ক্রসিং রয়েছে। তার জন্য যানজটও হয়।
এ দিন মুখ্যমন্ত্রী জলপাইগুড়ির আনন্দচন্দ্র কলেজে একটি বিজ্ঞান ব্লক তৈরির কথা ঘোষণা করেছেন। বিকেলে সরকারি সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জলপাইগুড়ির জন্য প্রচুর উন্নয়নের প্রকল্প রয়েছে। অনেক কাজ হয়েছে। আরও হবে। কাজ করতে গেলেই একটার পর একটা প্রকল্প চলে আসে। সরকার সবই রূপায়ণ করবে।
জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতাল চত্বরেই মেডিক্যাল কলেজ তৈরির প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, হাসপাতালের আশেপাশে যে পরিমাণ জমি রয়েছে তাতে নতুন ভবন তৈরি সম্ভব। তা ছাড়াও টিবি হাসপাতাল পাড়ার মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতালে বেশ কয়েকটি বিভাগ স্থানান্তর হলে জেলা হাসপাতালের বর্তমান ভবনেও কিছুটা স্থান সঙ্কুলান হবে বলে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। মেডিক্যাল কলেজ নিয়ে আজ স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে জেলার আধিকারিকদের বৈঠকও হতে পারে ।
তবে জেলা কংগ্রেস সভাপতি নির্মল ঘোষ দস্তিদারের মন্তব্য, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী যা বললেন, আগে সে সব ঘোষণা বাস্তব হোক তারপরেই না হয় যা বলার বলব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy